অনলাইন ডেস্ক: এরপর মুখ দেখাবেন কী করে প্রশ্ন অনেকের?”এ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না হিন্দুত্ববাদী ধর্মীয় সংগঠন ও পেশাজীবি হিন্দু আইনজীবিদের ভূমিকা নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন মিডিয়ার সামনে। ভিকটিম ঝুমন দাসের পক্ষে মাননীয় আদালতে দাঁড়িয়ে এডভোকেট জেড আই খান পান্না বলেছেন…..’এটা কোনো মামলাই হতে পারে না। মামলা যাদের বিরুদ্ধে হওয়ার কথা তাদের বিরুদ্ধে না হয়ে মামলা করা হয়েছে ঝুমন দাশের বিরুদ্ধে। তবে,ঝুমন দাশের মা-ও অবশ্য একটা মামলা করেছেন।সেই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করার পর জামিনে ছাড়া পেয়ে গেছে। একটা মানুষ (ঝুমন দাস) ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। মামুনুল হকের কর্মকাণ্ড,বক্তব্য নিয়ে সরকারও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। অনেক মন্ত্রী এমপি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মামুনুল হকদের কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না। ঝুমন দাশ বলেছিলেন,মামুনুল হকরা যা করছে তা পাকিস্তানি অ্যাক্টিভিটি। এ কথা সরকারও বলেছে। তাহলে ঝুমন দাশের বিরুদ্ধে মামলা কেন??? ঘটনার তারিখ হচ্ছে ১৬ মার্চ। জব্দ তালিকা অনুযায়ী ঝুমন দাশের মোবাইল জব্দ করার তারিখ বলা হয়েছে ১৬ মার্চ, অর্থাৎ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওইদিনই। কিন্তু পুলিশ মামলা করেছে ২২ মার্চ। আর আদালতে হাজির করা হয়েছে২৩ মার্চ। আসামিকে গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করার কথা। প্রশ্ন হল এতদিন তাহলে ঝুমন দাশ কোথায় ছিলেন?’মানবাধিকারের জন্য লড়াকু নির্লোভ এই জীবন্ত কিংবদন্তী এ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না আক্ষেপ করে আরো বলেন,” ব্যাঙের ছাতার মতো হিন্দু সংগঠন,————————————————–
ছাড়পোকার মতো হিন্দু নেতা,হাজার————————————————-
হাজার হিন্দু আইনজীবী, অথচ গত ৬—————————————————–
মাসে ঝুমনের জামিনের ব্যাপারে————————————————- তাদের কার্যকর কোন এক্টিভিটি দেখি নাই।——————————————————
জনাব, জেড আই খান পান্না, সত্যিকার আপনার মতো বীরের প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধা ও অসীম কৃতজ্ঞতা। স্যালুট আপনাকে এবং আপনার এ্যাসোসিয়েট সব্বাইকে।”আপনি আসলেই বিবেকহীন অন্ধ সমাজে সত্যিকার একজন পান্না।বিরল এক হিরকখণ্ড”।বাংলাদেশে উচ্চ আদালতে হিন্দু বয়োজ্যেষ্ঠ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন আইনজীবী কিলবিল করে বলা বাহুল্য। তাঁরা গত ছয়মাসে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একদিনের জন্যও অন্তরীণ দুধের শিশুর পিতা হতদরিদ্র ঝুমন দাসের জামিনের জন্য হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন নি?
অথচ, হিন্দুদের কল্যাণ চিন্তায় নাকি ওদের চোখে ঘুম নেই! হিন্দু আইন পরিবর্তনের পক্ষাবলম্বীদের ‘ লাল কার্ড ‘ দেখিয়ে সস্তা বীরত্ব প্রদর্শন করছেন!কী অবিশ্বাস্য রসিকতা!!মানবতাবাদী আইনজীবী ‘আইন ও সালিশ কেন্দ্রের’ চেয়ারম্যান জেড আই খান পান্না বকধার্মিক কথিত হিন্দুত্ববাদী নেতাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন,’এঁরা নদগে বিশ্বাসী!মানবতা এঁদের কাছে তুচ্ছ। সুপ্রিয় বন্ধুরা,আরেকটি তথ্য সংযুক্ত করছি এখানে,’হিন্দু আইন পরিবর্তনের পক্ষে যে খসড়াটি আইন মন্ত্রনালয়ে দাখিল করা হয়েছে সেই খসড়ায় জেড আই খান পান্নার মানবাধিকার সংগঠন ‘আইন ও সালিশ কেন্দ্র’,শাহিনা আনামের ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’,দীপালি চক্রবর্তীর ‘মহিলা ঐক্য পরিষদ’সহ যেসকল সংগঠনের অসামান্য অবদান রাখছেন তাঁদেরও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন! এই কৃতী সন্তানদেরও লাল কার্ড দেখাচ্ছেন!’

সুবিধাবাদী হিন্দু চিহ্নিত বন্ধুরা,আপনাদের মুখোশ কিন্তু খোলে গেছে!কাল থেকে মুখ দেখাবেন কী করে?এখানেও হয়তো খোঁড়া যুক্তি রেডি করে বসে আছেন! আপনাদের যুক্তি সেই ভাঙ্গা রেকর্ড ; “হিন্দু সুরক্ষা আইন “!!ততদিন ঝুমন দাসরা জেলে পঁচে মরুক!!”মজার ব্যাপার!গত ২১ সেপ্টেম্বর ‘হিন্দু আইন পরিবর্তনের পক্ষে ‘ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মানবাধিকার সংগঠন ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’ এর প্রতিষ্ঠাতা শাহিন আনাম(ডেইলি স্টারের বরেণ্য সম্পাদক মাহফুজ আনামের সহধর্মীনি ),এঞ্জেলো গোমেজ ও ডেইলি স্টারের বরেণ্য সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দণ্ডবিধি আইনের ১৫৩(ক)/৫০৫ ধারায় পিটিশন নং ১৯০/২১ মামলা দায়ের করেছেন গোবিন্দ প্রামানিকের কমিটির নেতা এ্যাড.রঞ্জিত দে। বাকীটা রচিত হবে নতুন ইতিহাসের পাতায় অদূর ভবিষ্যতে।
শেষকথা ; এইসব আইনজীরাও মানুষ,এ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না,এ্যাডভোকেট নিনা গোস্বামী,এ্যাড.শাহিনা আনামও মানুষ।।”আলোকিত মানুষ কাকে বলবেন?নতুন ইতিহাসের নায়ক ও খলনায়ক নির্বাচনের ভার আপনাদের উপর অর্পন করলাম।তবে,চিনে রাখুন এইসব বীরপুরুষদের !!
বিষেরবাঁশী.কম/ডেস্ক/সুভাষ সাহা