অনলাইন ডেস্ক:
লেখক: (সুভাষ সাহা)
বিতর্কিত ইস্যু নিয়ে দু’টি পক্ষ থাকে। প্রশ্ন উঠেছে, স্বাধীনতা দিবসে “পেটে ভাত নাই স্বাধীনতা দিয়ে কি করমু” ওই মন্তব্য শিশুটি করেছে কি না? ৭১ টিভির ফারজানা রূপার সাক্ষাৎকারে শিশুটি স্পষ্ট করেছে সে তা বলেনি। ছোট মানুষের মুখ দিয়ে বড় মানুষের কথা প্রথম আলোর মতো জনপ্রিয় পত্রিকায় ছাপা না হলে কেউ হয়তো এতোটা মাথা ঘামাতো না ! ১০ টাকার বিনিময়ে বলানোয় প্রথম আলোর প্রতিপক্ষ এখানে একটা অশুভ ‘রাজনীতির’ গন্ধ পাচ্ছে বলে অনেকের সন্দেহ ! প্রথম আলোর ভূমিকা নিয়ে নেত্রীর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া,” আমি প্রথম আলো পড়িনা” কে না জানে ? রাজনীতির উত্তপ্ত মাঠে শিশুর মুখের এরূপ তীর্যক মন্তব্য বিরোধী রাজনৈতিক দলের কাছে দেশলাইয়ের আগুন ! সঙ্গত কারণে সরকার নাখোশ অস্বাভাবিক না। ১৯৭৪ সালে কৃত্রিম দুর্ভিক্ষের প্রতীক হিসেবে বাসন্তীকে ছেঁড়া জাল পড়িয়ে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি কাড়ার ‘ইতিহাস’ বিস্মৃত হয়নি!”পেটে ভাত না থাকলে স্বাধীনতা দিয়ে কি করমু” এমন কথা বলা পাপ নয় আমিও মানি। রাজনীতিকরা বা কবিরা অহরহ বললেও সরকার গায়ে মাখে না। এবার গায়ে মেখেছে সরকার ! কারণ,প্রথম আলো! তাই আইনী লড়াইয়ে গড়িয়েছে। একটা শক্তিশালী বিরোধী দলের ভূমিকায় প্রথম আলো…। এ জন্য ই প্রথম আলো ফ্যাক্টর! প্রথম আলোর পথ অপেক্ষাকৃত বেশি কণ্টকাকীর্ণ প্রথম আলোর সম্পাদকীয় কর্তৃপক্ষকে মাথায় রাখার পরামর্শ অনেকের। প্রথম আলোর ব্যাপারে সরকারের মনোভাবকে সাংবাদিক নিপীড়ন অভিযোগ যতোই করি না কেন সরকার আপাততঃ তা মানতে নারাজ বলা বাহুল্য। সরকারের নানা কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে এর চেয়ে কঠিন মন্তব্য প্রতিদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হলেও সরকারের ভ্রুক্ষেপ চোখে পড়েনি! কিন্তু ‘প্রথম আলো’ ব্যতিক্রম বলার অপেক্ষা রাখে না এটাই বাস্তবতা