অনলাইন ডেস্ক: শান্তনা ঘোষ,কোতোয়ালি থানার,চট্টগ্রাম জেলার অধিবাসী। তিন ভাই দুই বোন তারমধ্যে শান্তনা সবার ছোট।
আর তিন ভাইয়ের মধ্যে একজন ভাই হেপাটাইটিস বি রোগে মারা গিয়েছে। বাবা মা বেঁচে নেই। বড় ভাই আলাদা থাকেন আর শান্তনা আর তার ছোটদা একসাথে থাকতেন।
গত ছয় মাস আগে শান্তনা তার ছেটদাদাকে বিয়ে করিয়েছেন তারপর নিজের বিয়ের জন্য রাজি হয়েছেন। যেহেতু মা বাবা বেঁচে নেই সেক্ষেত্রে শান্তনার বিয়ের দায়িত্ব কেউ নিতে ও চাইতো না। সমাজের কেউ এক্ষেত্রে এগিয়ে ও আসতো না।
শান্তনার বড় বোন দুই একজন পাত্র আনলে ও তারা মা বাবা না থাকায় এতিম বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে চলে যেতো। মা বাবা না থাকায় শান্তনার ও একটু বেশি বয়স হয়ে গিয়েছিল। গত কয়েক মাস আগে এক পাত্রপক্ষ শান্তনাকে বিয়ে করতে রাজি হয়।
তারা জানতো শান্তনার মা বাবা নেই। আর্থিক অবস্থা ও তেমন ভালো না। গত উনিশ অগ্রহায়ণ, ছয় ডিসেম্বর ২০২২ সালে শান্তনার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী এবং শ্বশুর বাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য অত্যাচার শুরু করে।
শান্তনা দর্জির কাজ করে কিছু টাকা জমিয়েছিলো আর তার ভাইয়ের কিছু টাকা দিয়ে বিয়ের খরচ চালায়। সবকিছু জানার পরে ও স্বামী এবং শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে যৌতুকের জন্য শারীরিক, মানুষিক টর্চারের মধ্যে রাখতো।
এখন তার স্বামী দুটি কারনে তাকে রাখতে চাচ্ছেন না।প্রথমত: উচ্চ হারে (পাঁচ লাখ)নগদ টাকা না দিতে পারলে তার সাথে সংসার করবে না।দ্বিতীয়ত:যেহেতু মা বাবা ছিলো না এতিম ভাই বোনের বিয়ের দায়িত্ব ও কেউ নিতো না তাই ছয় মাস আগে ভাই কে বিয়ে করিয়ে নিজের বিয়ের জন্য রাজি হয়।
এদিকে শান্তনার বয়স বেশি হয়ে যাওয়ায় সন্তান ধারনের সক্ষমতা হারায়।মাত্র তিন মাসের স্বামীর সংসার ছেড়ে শান্তনাকে চলে আসতে হলো স্বামীর যৌতুক নির্যাতন ও মা হওয়ার সক্ষমতা হারানোর কারনে। শান্তনার বর্তমানে কি করা উচিৎ অভিজ্ঞদের পরামর্শ চাচ্ছি।
