শুক্রবার ২৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ৯ জুন, ২০২৩ শুক্রবার

পঞ্চগড়ে লাশের সারি;হিন্দু পুটুয়ারা কোথায়?

অনলাইন ডেস্ক :পঞ্চগড়ে লাশের সারি;হিন্দু পুটুয়ারা কোথায়? হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব আসন্ন শারদীয় দূর্গা পূজাকে ঘিরে ঘরে ঘরে যখন আনন্দের বাতাবরণ বইছিল,

ঠিক সেই মহেন্দ্রক্ষণে গত ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়ার শুভদিনে পঞ্চগড়ে নৌকা ডুবিতে অর্ধ শতাধিক নারীপুরুষ ও শিশুর সলীল সমাধির মর্মান্তিক ঘটনায় আমরা নির্বাক,বেদনাহত।তাঁদের কাঙ্ক্ষিত উৎসবের আনন্দ মুহূর্তে বিষাদে পরিণত হয়ে গেল।

সারি সারি লাশ আর লাশ। তারপরও মায়ের আরাধ্য পূজা যথানিয়মে শুরু এবং শেষও হবে!কিন্তু থেকে যায় কিছু কথা!মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর স্বজন হারানো পরিবারগুলোর ঘরে এখনো থামেনি আহাজারি ও মাতমের খবর রাখার কথিক এজেন্সির ফেরিওয়ালারা উধাও…. ? তবে, তাৎক্ষণিকভাবে সরকারি তরফে যৎ সামান্য আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে।

কিন্তু প্রশ্ন; কোথায় গেল দেশের আভিজাত ট্যাগ লাগানো এতো এতো হিন্দু সংগঠনগুলো? অমুক ফাউন্ডেশন, তমুক ফাউন্ডেশন….? ব্যয়বহুল আভিজাত পূজা উদযাপন পরিষদের পটুয়ারাই বা কোন্ ভুবনে হাওয়া? আশ্চর্যজনক হলেও সত্য,ইতোমধ্যে,স্থানীয় জামাতে ইসলামী রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। যা ব্যাপক প্রশংসীত হয়েছে।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য,কোটি টাকার বাজেট ব্যায় করা দেশের শতাধিক ‘আভিজাত পূজা উদযাপন কমিটি’র পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যায় নি!আমার প্রস্তাব; পঞ্চগরের দুর্ঘটনার শিকার ভিকটিমদের সাহায্যার্থে এবার প্রতিটি পূজা মন্ডপের বাজেটের ১০% থেকে ২০% কর্তন করে সমূদয় অর্থ তাঁদের অনুকূলে বিতরণ করা যায় কিনা বিবেচনা করার মানবিক আবেদন জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে কোন সিদ্ধান্ত আছে কি না জানা সম্ভব হয়নি।আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি শুধুমাত্র গুলশান পূজা কমিটি,ধানমন্ডি পূজা কমিটি,বনানী পূজা কমিটি ও বসুন্ধরা পূজা কমিটির বাজেটের ১০% অর্থ সাশ্রয় করা হলে এর পরিমান দাঁড়াবে কমপক্ষে এক কোটি টাকা।

সারা দেশে ৩৩ হাজারের বেশি দূর্গা পূজা অনুষ্ঠানের তথ্য জানা গেছে। @ সবগুলো মন্ডপ থেকে গড়ে ১০ হাজার টাকার উদ্যোগ নেয়া হলে ৩৩ কোটি টাকার সংস্থান করা সম্ভব। কে হবেন উদ্যোক্তা নেতা বা সংগঠন? প্রয়োজন শুধুমাত্র সদিচ্ছার।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানতে পেরেছি, কানাডার একজন মানবাধিকার নেতা হিন্দু লাইভস ম্যাটারের কর্ণধার শ্রী পদীপ দাস ও বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক শ্রী রিপন দে যৌথভাবে তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।ভাবমূর্তিসম্পন্ন এই দুই সংগঠক ইতোপূর্বেও নীরবে অসহায়দের অনুকুলে সহায়তায় অবদান রেখেছেন নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

তাই আসুন,শারদীয় দূর্গা পূজার উৎসবের বাহুল্য খরচ সাশ্রয় করে মানবতার পাশে দাঁড়াই। নৌকা ডুবির দুর্ঘটনায় নিহত আহতদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা ওসবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা।

বিষেরবাঁশী .কম / ডেস্ক

Categories: অপরাধ ও দুর্নীতি,খোলা বাতায়ন,জনদূর্ভোগ,জাতীয়,ধর্ম ও নৈতিকতা

Leave A Reply

Your email address will not be published.