সুভাষ সাহা: ঝুমন দাস গ্রেফতার কেন? তাও আবার দুই হাত পিছমোড়া করে! বিনা অনুমতিতে অন্যের বাড়িতে অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা কি অপরাধ?
যিনি অনধিকার চর্চা করলেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো প্রতিবাদীকে গ্রেফতার কি বিবেক সমর্থিত? মন্দিরের নিজস্ব ফটকে বিনা অনুমতিতে একজন উদ্দেশ্যমূলকভাবে দানবাক্স লাগালেন। পোস্টার সাঁটালেন।
বিষয়টি উল্টো হলে অর্থাৎ মসজিদে লাগালে কি বলবেন? আজ দানবাক্স,আগামীকাল কেউ হয়তো মন্দিরের ভেতরে ঢুকে ঘর নির্মাণ করতে চাইবেন!
তখনো কিছু বলা যাবে না! ঝুমন দাস তো অন্যায়ের বিরুদ্ধে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এটুকুও করা যাবে না? প্রশাসনের উচিৎ ছিল,ঝুমন দাসের সৎ সাহসের প্রশংসা করা। উস্কানীদাতাকে শায়েস্তা করা। আদতে প্রশাসন তা করেনি।
যিনি মন্দিরের গায়ে অন্যের দানবাক্স লাগিয়ে উস্কানী দিয়েছেন তাঁর ব্যাপারে কোন ব্যবস্থার খবর নেই! ভিকটিম বারবার ভিকটিক হয়ে শাস্তিভোগ করবেন এটি কোন বিচার? অনতিবিলম্বে ঝুমন দাসকে সসম্মানে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।