অনলাইন ডেস্ক:-দেশের বয়স্ক মানুষ, ফ্রন্টলাইনার হিসেবে যেসব ডাক্তার, নার্স, সরকারি কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকরা কাজ করে যাচ্ছেন তাদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি কেন্দ্রে পরীক্ষামূলক টিকাদানের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের বুস্টার ডোজ দেওয়ার কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ শুভ্র সেন্টারে পিঠা-পুলি উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বুস্টার ডোজ দেওয়ার যাবতীয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ফাইজার দিয়ে শুরু হবে বুস্টার ডোজ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন দেশের প্রায় সাত কোটি মানুষকে করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজ এবং প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষকে দুই ডোজ করে টিকা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বুস্টার ডোজ দেওয়ার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে এবং পরে এর আওতা ধীরে ধীরে বাড়ানো হবে।
আর প্রায় পাঁচ কোটি টিকা এ মুহূর্তে সরকারের হাতে আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুস্টার ডোজ কারা পাবে?
করোনাভাইরাসের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ যাদের নেওয়া হয়েছে তাদেরই একটি নির্দিষ্ট সময় পর তৃতীয় ডোজ নিতে হবে এবং এটিই বুস্টার ডোজ।
তবে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কত দিন পর বুস্টার ডোজ নেওয়া হবে এবং প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে যে টিকা দেওয়া হয়েছিল সেটিই তৃতীয় ডোজ হিসেবে দেওয়া হবে কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়।
দেশে এ মুহূর্তে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, সিনোফার্ম, মডার্না ও সিনোভ্যাক টিকা দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী শুক্রবার জানিয়েছিলেন যে, এ মুহূর্তে সরকারের হাতে প্রায় পৌনে পাঁচ কোটি টিকা আছে।
বিষেরবাঁশী.কম/ডেস্ক/আয়েশা
