অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেনুকে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। একইসঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৮ নভেম্বর তারিখ ধার্য করা হয়েছে। আজ বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার এই আদেশ দেন।
এর মধ্য দিয়ে মামলার আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু হলো। মামলার আসামিরা হলেন মো. শাহীন (৩১), মো. বাচ্চু মিয়া (২৮), মো. বাপ্পি (২১), ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা (২০) মুরাদ মিয়া (২২), মো. সোহেল রানা (৩০), মো. বিল্লাল (২৮), মো. আসাদুল ইসলাম (২২), মো. রাজু (২৩), আবুল কালাম আজাদ (৫০), মো. কামাল হোসেন (৪০), মো. ওয়াসিম (১৪), রিয়া বেগম ময়না (২৭) ও মো. জাফর হোসেন (২০)।
চলতি বছরের ১ এপ্রিল মামলার ১৫ আসামির মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার ৬ষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাতিমা ইমরুজ কনিকা। বাকি দুই আসামি জাফর ও ওয়াসিম অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের তাদের মামলাটি বিচারের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
২০১৯ সালের ২০ জুলাই সকালে উত্তর-পূর্ব বাড্ডার বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। স্কুলটিতে নিজের চার বছরের মেয়েকে ভর্তি করানোর জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন রেণু। তিনি রাজধানীর মহাখালীতে চার বছরের মেয়ে ও মাকে নিয়ে থাকতেন। দুই বছর আগে স্বামীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়। তার ১১ বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। ছেলেটি বাড্ডায় বাবার সঙ্গে থাকে।
এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই নিহত রেণুর ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু বাড্ডা থানায় অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এরপর ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল হক।
বিষেরবাঁশী.কম/ডেস্ক/ব্রিজ