শুক্রবার ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ শুক্রবার

গোপনে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিক্রি হলো স্কুলকক্ষ

অনলাইন ডেস্ক : গোপনে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত কক্ষ বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ৪৭নং খাগড়াবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি দাউদ মোল্যা ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ওয়াহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে।

গত ২৮ আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে জাহিদ শেখ নামে স্থানীয় ১ ব্যক্তি।

জানা গেছে, উপজেলার ওড়াকান্দি ইউনিয়নের ৪৭নং খাগড়াবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যক্ত টিনের ঘর বিদ্যালয়ের তৎকালীন সভাপতি দাউদ মোল্যা ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ওয়াহিদুর রহমান ১ বছর আগে নিলাম ছাড়াই গোপনে বিক্রি করে দিয়েছে।পরে এলাকাবাসী বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে খোঁজ নিয়ে নিলাম ছাড়া ঘর বিক্রির সত্যতা পায়।

এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা এম ওয়াহিদুর রহমান বলেন , এ ধরনের কোনো বিষয় আমার জানা নেই। তবে স্কুল পরিচালনা কমিটির দ্বন্দ্বের কারণে কেউ অভিযোগ দিতে পারেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জোহরা খাতুন জানান , আমি ২০১১ সালে স্কুলে যোগদান করার সময় একটি টিনের ঘর দেখেছি। পরে ঘরের কিছু জরাজীর্ণ টিন, কাঠ ও ভাঙাচোরা চেয়ারের আসবাবপত্র ৮ হাজার টাকায় বিক্রি করে এটিও স্যারের কাছে টাকাগুলো দিয়েছিলাম। সে টাকা দিয়ে তার মাধ্যমে একটি ল্যাপটপ কিনেছি।  

কাশিয়ানী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র বালার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, স্কুলের কোনো ঘর নিলাম হয়নি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবেন।

বিষেরবাঁশী.কম / ডেস্ক / ঝিনুক

Categories: অপরাধ ও দুর্নীতি,শিক্ষা,সারাদেশ

Leave A Reply

Your email address will not be published.