অনলাইন ডেস্ক:- ইথিওপিয়া ও কাজাকিস্তানে অবকাঠামোগত প্রকল্পের পাশাপাশি অন্যান্য প্রকল্পেও বড় আকারে বিনিয়োগ করেছে চীন। ইথিওপিয়ার সঙ্গে বেইজিংয়ের যে প্রতিরক্ষাগত সম্পর্ক রয়েছে তাতে হ্যাকারদের জড়িত থাকার সংকেত অদূর ভবিষ্যতে দেশগুলোর জন্য আরও খারাপ প্রভাব পড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা—সবখানেই বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের বন্যা বইয়ে দিচ্ছে একালের অর্থনৈতিক পরাশক্তি শি জিনপিংয়ের দেশ। গোটা আফ্রিকা মহাদেশে চীন সূচনা করেছে এক ‘নতুন অর্থনৈতিক রেনেসাঁ’র।
এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানা যায় চীনের ভালো মানুষির মুখোশের আড়ালে অন্য এক রূপ। আর তা হচ্ছে স্পর্শকাতর তথ্য চুরি।
আফ্রিকায় ১৯০ টিরও বেশি সরকারি ভবন তৈরি করেছে। বলা বাহুল্য, বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে ২০ কোটি ডলার ব্যয়ে ভবনটি গড়ে দিয়েছিল চীন। ২০১২ সালের জানুয়ারিতে ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবাতে আফ্রিকান ইউনিয়ন (এইউ) উদ্বোধন করে চীন
ভবন শুধু নয়, এর চেয়ার-টেবিল থেকে শুরু করে যাবতীয় আসবাব ও যন্ত্রপাতি সবই সরবরাহ করেছে চীনারা। সুবিশাল এই অট্টালিকাটির প্রায় ১০০ মিটার উঁচু টাওয়ারটি আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলোর সঙ্গে চীনের নতুন মিতালির প্রতীক হয়ে সগর্বে নিজের অস্তিত্বের কথা জানান দিচ্ছে।
টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মিশনের অধীনে ১৪ টি সংবেদনশীল আন্ত–সরকারী টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক অন্তর্ভুক্ত চীন-আফ্রিকা। এছাড়াও আফ্রিকার মিডিয়া খাতে৷ সেখানকার জনসাধারণের জন্য রেডিও, সংবাদ সংস্থা, টিভি চ্যানেল আর সংবাদপত্র চালু করেছে চীন৷
বেইজিং একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ইথিওপিয়ার কাছে ভারী অস্ত্র বিক্রি করে আসছে। এর মধ্যে রয়েছে আর্টিলারি, হালকা সাঁজোয়া যান, রকেট, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং সৈন্যবাহী যানবাহন সহ অস্ত্র ও গোলাবারুদ।
এদিকে মার্কিন কংগ্রেস সদস্যরা এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইথিওপিয়ার পাশাপাশি কাজাকিস্তানও এখন চীনের বিনিয়োগ কেন্দ্র হিসেবে পরিণত হচ্ছে। সেখানেও তাদের শক্তি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করতে মরিয়া চীন।
বিষেরবাঁশী.কম/ডেস্ক/ব্রিজ