বৃহস্পতিবার ৫ বৈশাখ, ১৪৩১ ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ বৃহস্পতিবার

সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫১তম জন্মদিন

অনলাইন ডেস্ক :-যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা আর দেশপ্রেম, এই তিনের সমন্বয়ে দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতকে শুধু এগিয়েই নেননি, নিজ হাতে গড়ে তুলেছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ। ক্ষমতার খুব কাছাকাছি থেকেও নির্লোভ ও পরিচ্ছন্ন জীবন-জীবিকার অধিকারী থেকে ঠাঁই করে নিয়েছেন দেশের আপামর মানুষের মনে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় আজ পা রাখলেন ৫১ বছরে।

যুদ্ধের দামামার মাঝেই ১৯৭১ সালের ২৭ শে জুলাই বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও শেখ হাসিনা ঘর আলো করে জন্ম নেয় ফুটফুটে এক শিশু। পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের পর নানা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রিয় দৌহিত্রের নাম রাখেন জয়।

‘জয়’ দিয়ে জীবনের শুরু হলেও শৈশবেই তাকে হতে হয় কঠিন নিষ্ঠুরতার মুখোমুখি। ৭৫-এ ঘাতক দলের নির্মম বুলেটে নানা-নানীসহ ছিন্নভিন্ন হয় যায় পুরো পরিবার। ৭৫ পরবর্তী লন্ডন হয়ে মায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকেন ভারতে। পড়াশোনা করেন বিশ্বের প্রসিদ্ধ সব বিদ্যাপীঠে। নিজেকে গড়ে তোলেন একজন প্রতিষ্ঠিত কম্পিউটার প্রকৌশলী হিসেবে।

জীবনের বড় একটি সময় প্রবাস জীবন-যাপন করলেও দেশ ভাবনা থেকে কখনো পিছপা হননি বঙ্গবন্ধু দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। ২০১৪ সালে দায়িত্ব নেন মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবৈতনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি নিয়ে আসেন তিনি। পর্দার অন্তরালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে গোটা দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান এই তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।

মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হাইটেক পার্ক নির্মাণ, ফোর-জি চালু, ইন্টারনেটের দাম কমানো, কম্পিউটারের শুল্কমুক্ত আমদানি, ফ্রিল্যান্সিংয়ে উৎকর্ষ সাধনসহ অনলাইনে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের অবদান অনন্য। যার সুফল আজ ভোগ করছে কোটি বাঙালি। কেননা করোনা মহামারিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থমকে গেলেও তথ্য প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ পাচ্ছে বাড়তি সুবিধা।

সজীব ওয়াজেদ জয় মনে করেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পথে বাংলাদেশ হতে চলেছে আগামীর নেতা। যার নেতৃত্বে থাকবে দেশের তরুণ প্রজন্ম। আর তাই তরুণ  উদ্যোক্তা ও নেতৃত্বকে একসঙ্গে যুক্ত করার পাশাপাশি প্রশিক্ষিত করতে বৃহত্তম প্ল্যাটফরম ‘ইয়াং বাংলার’ সূচনা হয় সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বেই।

শ্রমনির্ভর অর্থনীতিকে প্রযুক্তিনির্ভর করে তুলতে জাতীয় পর্যায়ে চলমান কর্ম-প্রয়াসের কেন্দ্রবিন্দুতে সজীব ওয়াজেদ জয়। যার নেতৃত্বে দেশের উত্তরণ ঘটেছে অফলাইন থেকে অনলাইনে। প্রযুক্তির বরপুত্র, ডিজিটাল বাংলাদেশের এই রূপকারের হাত ধরেই আরও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। এগিয়ে যাবে তারুণ্য।

২০১৩ সালে সেপ্টেম্বর মাসে ‘সময় সংবাদ’কে দেওয়া সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিশেষ সাক্ষাৎকার প্রচারিত হবে মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) ‘সম্পাদকীয়’ অনুষ্ঠানে। রাত ১০টায়। 

বিষেরবাঁশী.কম/ডেস্ক/আয়েশা

Categories: জাতীয়

Leave A Reply

Your email address will not be published.