অনলাইন ডেস্ক:বিদেশে পড়ালেখা করার সময় উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানরা জড়িয়ে পড়ছে ভয়ঙ্কর সব নতুন মাদকে। কেউ থাইল্যান্ডে গিয়ে নতুন মাদক ডিএমটিতে কেউ আবার লন্ডনে গিয়ে এলএসডি সেবনে আসক্ত হচ্ছে। পড়াশোনা শেষে দেশে ফিরেও তারা পোস্টাল সার্ভিসের মাধ্যমে বই কিংবা কোনো কাগজ মধ্যে দেশে আমদানি করছে এলএসডি ও ডিএমটি।
গোয়েন্দাদের তদন্তের ভিত্তিতে রাজধানীর তেজগাঁও থেকে নিষিদ্ধ মাদক এলএসডি ও ডিএমটিসহ চারজনকে আটকের পর এ তথ্য জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আটককৃতরা হলেন- সৈয়দ মঈন উদ্দিন আহমেদ ওরফে শাদাব, আব্রাহাম জোনায়েদ তাহের, স্বপ্নীল হোসেন ও সিমিয়ন খন্দকার। তাদের কাছ থেকে ৪০ ব্লট আলোচিত মাদক এলএসডি, নতুন মাদক ডিএমটি ৬০০ মিলিগ্রাম, আমেরিকান ক্যানাবিজ ৬২ গ্রাম ও মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
রবিবার দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সম্মেলনে র্যাব-২ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম বলেন, ইদানিং মাদক কারবারি এবং মাদকসেবিরা নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করছে। দেশে প্রচলিত নয় এমন কিছু মাদকের ব্যবহার বাংলাদেশে পরিলক্ষিত হচ্ছে। ধীরে ধীরে আমাদের যুব সমাজ এতে আসক্ত হচ্ছে। এলএসডি সম্পর্কে ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি। এটি মূলত বিদেশ থেকে পোস্টাল সার্ভিসের মাধ্যমে বাংলাদেশে আনা হয় এবং উচ্চমূল্য হওয়ায় মূলত এর ব্যবহারকারী উচ্চবিত্তরা।
জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতদের জানায়, এটি সেবনের পর দ্রুত হ্যালুসিনেশন হয় এবং তারা কল্পনার জগতে প্রবেশ করে। আটক সৈয়দ মঈন উদ্দিন আহমেদহ শাদাব থাইল্যান্ডে বিবিএ পড়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের সঙ্গে এলএসডি ও ডিএমটি মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে দেশে এসেও ওই মাদক গ্রহণ অব্যাহত রাখে। শাদাব মূলত এই ড্রাগ বিদেশ থেকে বিভিন্ন পোস্টাল সার্ভিসের মাধ্যমে নিয়ে আসে। অপরদিকে আব্রাহাম জোনায়েদ তাহের উচ্চশিক্ষার জন্য ইংল্যান্ডে যায়। সেখানে সে নিয়মিত এলএসডি ও ডিএমটি গ্রহণ করতো।
বিষেরবাঁশী.কম/ডেস্ক/ব্রিজ