অনলাইন ডেস্ক:-দুই মাসের বিরতির পর ইলিশ শিকারে নদীতে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভোলার জেলেরা। শনিবার (১ মে) থেকে আবারও জাল ও জেলেতে ভরে উঠবে মেঘনা-তেঁতুলিয়ার বুক। দীর্ঘদিনের কর্মহীন সময় আর করোনা দুর্যোগের দুঃখ-কষ্ট ভুলে রুপালি ইলিশ পাবার স্বপ্ন দেখছেন মৎস্যজীবীরা।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা সফল দাবি করে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা মৎস্য বিভাগের।
নদীর অভয়াশ্রমে জাটকা রক্ষা আর ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দু’মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাতে। নিষেধাজ্ঞার এ সময় কর্মহীন চিরচেনা অভাবের সঙ্গে দেশব্যাপী লাগাতার লকডাউন জেলেদের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে কয়েকগুণ।
সামনেই পবিত্র ঈদুল ফিতর তার সঙ্গে আবারও কর্মস্থল মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে নামার সময় হওয়ায় অনেকটাই উজ্জীবিত জেলেপল্লীর বাসিন্দারা। পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে নতুন উদ্যমে জাল-নৌকা নিয়ে প্রস্তুত রুপালি ইলিশের শিকারিরা।
জেলেদের মতো আড়ত মালিকদের আশা ইলিশে ভরে উঠবে ঘাটগুলো, পরিশোধ হবে মহাজনের দেনা।
নিষেধাজ্ঞা আর লকডাউনে জেলেদের দুর্ভোগ বেড়েছে জানিয়ে, সরকারি সহায়তা দ্রুত বিতরণের দাবি জেলে সমিতির নেতা মো. এরশাদ ফরাজির।
এদিকে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলামের দাবি, অভয়াশ্রমের নিষেধাজ্ঞা সফল হওয়ায় মাছের উৎপাদন বাড়বে।
জাটকা সংরক্ষণ অভিযান চলাকালে প্রথম দুই কিস্তিতে জেলার ৭৮ হাজার জেলেকে ৪০ কেজি করে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়। তবে এপ্রিল- মে দুই মাসের জন্য ৪০ কেজি করে খাদ্য সহায়তা বরাদ্দ হলেও তা বিতরণ শুরু হয়নি।
বিষেরবাঁশী.কম/ডেস্ক/আয়েশা