মঙ্গলবার ৫ চৈত্র, ১৪৩০ ১৯ মার্চ, ২০২৪ মঙ্গলবার

করোনার রোগীর শেষ ভরসা ‘অ্যাকটেমরা’ ইনজেকশন সংকট

অনলাইন ডেস্ক:– করোনায় আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীর ক্ষেত্রে এক ডোজ ‘অ্যাকটেমরা’য় সুফল মিললেও দেখা দিয়েছে ইনজেকশন সংকট। এক ডোজের দাম প্রায় অর্ধ লাখ টাকা। তবু টাকা নিয়ে একমাত্র বিপণন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে। সরবরাহ বাড়াতে সরকারি হস্তক্ষেপ দাবি ভুক্তভোগীদের।

রাতভর অপেক্ষা, এরপরে দীর্ঘ লাইন। শুধু কি ঢাকা? দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসছেন এক ডোজ ‘অ্যাকটেমরা’য় আশায়।

ওষধটি নিতে আসা এক যুবক জানান, সকাল ৮টা থেকে অপেক্ষা করে আছি, এখানে এসে জানতে পারলাম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে তারপর কার্ড দিবে। এরপর ইনজেকশনটা পাব। এখানে সকলেই দুইটা প্রেশারে আছি, একদিকে জানি না কখন পাব, অপরদিকে হাসপাতাল থেকে তাড়া দিচ্ছে রোগীর অবস্থা ভালো না। টাকার কথা বাদই দিলাম।  

আগে থেকে রেজিস্ট্রশন করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাইরে দাড়িয়ে থেকেও মিলছে না ওষুধের দেখা। ওপাশ থেকে হাসপাতালের তাড়া রোগীর অবস্থা ভালো না। যেন দিশেহারা সবাই। দাম ৪৩ হাজার টাকা। তবু শেষ ভরসা এ ইনজেকশন পেতে মরিয়া সবাই।

একটিমরা মূলত আথরাইটিজ ও প্রদাহে ব্যবহার হয় এ ইনজেকশন। জেনেটিক নাম টসিজলিজুমাব। উহানে প্রথম করোনা রোগীর ক্ষেত্রে ব্যবহারে সুফল মেলার খবর পাওয়া যায়। ধীরে ধীরে দেশেও বাড়ছে এর ব্যবহার। তবে প্রস্তুককারী প্রতিষ্ঠান রোশ-এর একমাত্র সরবরাহকারী রেডিয়্যান্ট হিমশিম খাচ্ছে সরবরাহ করতে। যদিও কী পরিমাণ মজুদ আছে কিংবা বিপণনের অনিয়ম নিয়ে কথা বলতে নানাজ কর্তৃপক্ষ।

চিকিৎসকরা বলছেন, সুনির্দিষ্ট প্রমাণ কিংবা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা না থাকলেও বিশেষ ক্ষেত্রে এ ওষুধ ব্যবহারে সুফল মিলেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এক ডোজ কিংবা দ্বিতীয় ডোজের মুমূর্ষু রোগীর ক্ষেত্রে সুফল মেলার দাবি তাদের।

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী বলেন, একটা রোগী এত খারাপ, ফিরে আসার সম্ভবনা কম তারপরও একটা ট্রায়াল দেওয়া যেতে পারে। ১০% রোগী ভালো হয় অনেক সময়।

এই করোনাকালে এই ওষুধের আমদানি ও বিপণনে সরকারের হস্তক্ষেপ চাইলেন সংশ্লিষ্টরা।

বিষেরবাঁশী.কম / ডেস্ক / ব্রিজ

Categories: স্বাস্থ্য

Leave A Reply

Your email address will not be published.