শুক্রবার ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ শুক্রবার

ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের দেখে এলেন দশ কূটনীতিক

অনলাইন ডেস্ক:-জাতিসংঘের পর এবার বাংলাদেশে নিযুক্ত দশ রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের দেখে এলেন।

শনিবার সকাল এগারোটায় রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি দেখতে বাংলাদেশে নিযুক্ত দশ দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাই কমিশনারগণ ভাসানচর পরিদর্শনে আসেন।

তাদের মধ্যে ছিলেন- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, জাপান, নেদারল্যান্ডস ও কানাডার মিশন প্রধানেরা। একই সময়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিবের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ও ভাসানচরে উপস্থিত ছিলেন।

দশ দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা সকাল এগারোটা থেকে দুপুর তিনটা পর্যন্ত ভাসানচরে অবস্থান করেন। এ সময় তারা ভাসানচরের এক নম্বর ওয়ার হাউসে বিভিন্ন বয়সের রোহিঙ্গাদের সাথে তাদের সুযোগ-সুবিধা ও জীবনযাত্রার মানসহ সার্বিক বিষয়ে মতবিনিময় করেন।

ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহে আলম জানান দুপুর তিনটায় ভাসানচর পরিদর্শন শেষে দশ দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারগণ ঢাকার উদ্দেশ্যে ফিরে যান।

এর আগে বাংলাদেশ সরকারের আয়োজনে ১৭–২০ মার্চ পর্যন্ত জাতিসংঘের একটি কারিগরি প্রতিনিধিদল ভাসানচরে যায়। প্রতিনিধিদলটি ভাসানচরে সরেজমিন সফরের পর সরকারের কাছে আগামী সপ্তাহে একটি প্রতিবেদন দেবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে চাপ কমাতে বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করেছে। তবে, পরিবেশগত ঝুঁকি, সামগ্রিক অবকাঠামোসহ রোহিঙ্গাদের তাদের নিজেদের ইচ্ছায় পাঠানো হচ্ছে কি না, এ বিষয়গুলো সামনে এনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো শুরু থেকেই ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের বিরোধিতা করে এসেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিরোধিতার মধ্যেই বাংলাদেশ সরকার গত বছরের ৪ ডিসেম্বর কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর শুরু করে।

বিদেশি কূটনীতিকেরা ভাসানচরে যাওয়ার আগে গত শুক্রবার সেখানে আরও ২ হাজার ১১৯ জন রোহিঙ্গাকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ নিয়ে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর থেকে সাত দফায় মোট ১৭ হাজার ৯৭১ জন রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়া হলো।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা শুরু হলে পরের কয়েক মাসে অন্তত আট লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। তার আগে আসে আরও কয়েক লাখ। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ।

বিষেরবাঁশী.কম/ডেস্ক/আয়েশা

Categories: জাতীয়

Leave A Reply

Your email address will not be published.