মঙ্গলবার ৫ চৈত্র, ১৪৩০ ১৯ মার্চ, ২০২৪ মঙ্গলবার

শরিয়ত মতেই বিয়ে করেছি, দাবি নাসির-তামিমার

অনলাইন ডেস্ক:-ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ে নিয়ে বিতর্কের ঝড় বইছে চারপাশে। অভিযোগ উঠেছে, নাসিরের স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাঁর সাবেক স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়েই নাকি এই নতুন বিয়ে করেছেন।

উত্তরা পশ্চিম থানায় এমন অভিযোগ তুলে সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসান। এদিকে আজ বনানীর এক হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে নাসির হোসেন দাবি করেন, সামাজিক ও ধর্মীয় রীতিনীতি এবং আইনানুযায়ী তামিমার সঙ্গে তাঁর বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।

তামিমার সাবেক স্বামী রাকিবের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন জাতীয় দলের বাইরে ছিটকে পড়া এ ক্রিকেটার।

সংবাদ সম্মেলনে নাসির ও তামিমার পক্ষ থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, ‘গত কয়েক দিন ধরে আমাদের বিয়ে ঘিরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে রাকিব হাসানের বরাত দিয়ে প্রকাশিত ও প্রচারিত অসত্য ও বানোয়াট তথ্যবহুল বেশ কিছু নেতিবাচক সংবাদ আমাদের নজরে এসেছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনা, সমালোচনা, বিভ্রান্তিকর মন্তব্য, বিদ্রূপাত্মক পোস্ট ইত্যাদি আমাদের ও আমাদের পরিবারের সদস্য ও শুভাকাঙ্খীদেরকে এক চরম বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে ও শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে।’

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘এসব খবরে রাকিব হাসানের উদ্ধৃতি দিয়ে অন্যান্য অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের সঙ্গে বিশেষভাবে বলা হয়েছে যে, রাকিব হাসান তামিমা সুলতানার বর্তমান স্বামী এবং এ অবস্থায় আমাদের গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখের বিয়ে অকার্যকর, সামাজিকভাবে চরম নিন্দনীয় ও আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।’

সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবীদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নাসির এবং তাঁর নবপরিণীতা স্ত্রী তামিমা। সেখানে নাসির দাবি করেন, আইন মেনেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।

অর্থাৎ, তামিমা তাঁর সাবেক স্বামী রাকিবকে আইন মেনে তালাক দিয়েই নাসিরের স্ত্রী হয়েছেন। সেই তালাকের নোটিশ ও নিকাহনামার কপি সরবরাহ করা হয় সংবাদকর্মীদের।

নাসির-তামিমার পক্ষ থেকে সরবরাহ করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা স্পষ্ট করে জানাতে চাই যে, রাকিব হাসানের প্রচার করা এই তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাদের হেয় প্রতিপন্ন করা, আমাদের সামাজিক সুনাম ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে আমাদের পেশাগত উন্নতি ও সমৃদ্ধি রোধ করা ও এর মাধ্যমে আর্থিকভাবে আমাদের নিদারুণ ক্ষতিগ্রস্ত করা এই প্রচারের অন্যতম লক্ষ্য। প্রায় দশ বছর আগে তামিমা সুলতানার সাথে রাকিব হাসানের বিয়ে হয়েছিল এবং তাদের একটি কন্যা সন্তান আছে। তবে ২০১৬-১৭ সালে দুজনের মধ্যে বনিবনা না থাকায়, তামিমা সুলতানা যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাকিব হাসানকে তালাক প্রদান করেন এবং উক্ত তালাক গত ২২-০৮-২০১৭ তারিখে নিকাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার মোঃ খলিলুর রহমান (হরিরামপুর, ইউ, পি, (১-৫) ওয়ার্ড, তুরাগ, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০) কর্তৃক ভল্যুম নং ৩, পৃষ্টা নং-৩৪ এ নিবন্ধিত হয়।’

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা সকলের কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি যাতে রাকিব হাসানের উদ্দেশ্যমূলক, বানোয়াট ও অসত্য বক্তব্যে কেউ বিভ্রান্ত না হন। আমরা রাকিব হাসানের বিরুদ্ধে অচিরেই যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

সংবাদ সম্মেলনে নাসিরের স্ত্রী তামিমা বলেন, ‘জনাব রাকিব হাসান, উনি যে বলেছেন আমি তালাক না দিয়ে উনাকে বিয়ে করেছি, তা সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা। আমি তালাকের জন্য আবেদন করি ২০১৬ সালে, সেটা অনুমোদন হয় ২০১৭ সালে। সম্পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়া মেনেই এই বিচ্ছেদটা হয় এবং এটা তিনি ও তার পরিবার বর্গ জানতেন। উনি যেটা করছেন, কেন করছেন এটা সম্ভবত আপনাদের সবারই বোঝা হয়ে গেছে।’

নাসির বলেন, ‘আমি তামিমাকে চিনি প্রায় চার-সাড়ে চার বছর ধরে। তখন আমার ভালো বন্ধু ছিল, এরপর আমাদের মধ্যে লাভ (প্রেম) হয়।’ নাসির যোগ করেন, ‘আইনগতভাবে, ইসলামি শরিয়ত মতে আমরা সবাইকে জানিয়ে বিয়ে করেছি।’

বিষেরবাঁশী.কম/ডেস্ক/ব্রিজ

Categories: বিনোদন

Leave A Reply

Your email address will not be published.