অনলাইন ডেস্ক:- চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে।
বুধবার সকাল ৮টায় নগরীর কদম মোবারক এম ওয়াই বালক উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রথম ভোটার হিসেবে ভোট দিলেন সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
ভোট দিয়ে আ জ ম নাছির জানান, ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিচ্ছেন। কেন্দ্রে সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট হচ্ছে। আশা করছি নৌকার প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরীকে বিজয়ী করবেন নগরবাসী।
বুধবার সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়; বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে।
১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৫৭ নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ কাউন্সিলর পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. হারুন-উর রশীদ।
অন্যদিকে ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তারেক সোলেমান সেলিমের মৃত্যুজনিত কারণে এ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ভোট হচ্ছে না। তবে মেয়র ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
চসিক নির্বাচনে ভোটার ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ এবং নারী ভোটার ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন।
তবে এর মধ্যে নতুন ভোটার প্রায় ৮০ হাজার, যারা এবারই প্রথম ভোট দেবেন। নতুন ভোটাররাই এবারের ভোটে মেয়র-কাউন্সিলর নির্বাচনে ফ্যাক্টর হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হবে।
চসিক নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ৭৩৫ প্রিসাইডিং অফিসার, চার হাজার ৮৮৬ সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং ৯ হাজার ৭৭২ পোলিং অফিসার।
এ ছাড়া অতিরিক্ত ৫ শতাংশ হিসাবে ১৬ হাজার ১৬৩ ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তার নতুন তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। নির্বাচনের জন্য ৪১ ওয়ার্ডে ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্র এবং চার হাজার ৮৮৬টি বুথ চূড়ান্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের কারণে নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে ২১ মার্চ প্রথম দফায় চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন স্থগিত করা হয়। দ্বিতীয় দফায় ১৪ জুলাই পুনরায় চসিক নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু হলে নির্বাচন কমিশন ২৭ জানুয়ারি সিটি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে।
বিষেরবাঁশী.কম / ডেস্ক / রূপা