শুক্রবার ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ ২৯ মার্চ, ২০২৪ শুক্রবার

চালে স্বস্তি ক্রেতার, ঝাঁজ কমেছে পেঁয়াজের

অনলাইন ডেস্ক:ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে সরকার প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে চাল আমদানি করছে। এর প্রভাব পড়েছে ঢাকার বাজারগুলোয়। পর পর কয়েক সপ্তাহ দাম বাড়লেও এখন স্থিতিশীল রয়েছে। তবে, ঝাঁজ কমেছে সব ধরনের পেঁয়াজের। তবে, ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কিছুটা। শুক্রবার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর কাওরানবাজারসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার থেকে এই তথ‌্য পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে  প্রতি কেজি চিনিগুঁড়া ৮৬, বাসমতি ৭০, মিনিকেট ৬১-৬২, নাজিরশাইল ৬৭-৭৪, আতপ চাল ৪৭-৪৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে।  এই সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হচ্ছে। 

চালের দাম না বাড়া সম্পর্কে কাওরানবাজারের ব‌্যবসায়ী মেসার্স হাজী রইছ এজেন্সির মালিক হাজী মাইনুদ্দিন মানিক বলেন, ‘দেশে ধান, চালের অভাব নেই, তারপরও দাম বাড়ে। বাড়ান মিল মালিকরা। এ সপ্তাহে ভারত থেকে চাল আসার কথা। এই কারণে বাজার  স্থিতিশীল। গত সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে দাম বাড়েনি।’

এই ব‌্যবসায়ী আরও বলেন, ‘সব সাংবাদিক ক্যামেরা নিয়ে আমাদের কাছে আসেন। আমরা বেশি বা কম দামে কিনলে সেভাবেই বিক্রি করি। কিন্তু যেখানে দাম বাড়ান মিল মালিকরা, সেখানে তেমন কেউ যায় না।’

 এদিকে, আলুর দামও কমেছে। প্রতি কেজি নতুন হাইব্রিড আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায় এবং দেশি ৪০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ ও ৪৫ টাকা দরে।

বাঁধাকপির ও ফুলকপির দাম আগের মতোই রয়েছে। আকার ও বাজার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৫-৩০ টাকা পিস। সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে মরিচের দাম। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি মরিচের দাম ছিল ১২০ টাকা। এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। 

একই বাজারের ব্যবসায়ী  মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘এ সপ্তাহে দেশি মরিচ আমদানি বেশি। আর কাঁচা জিনিস দাম এক রকম থাকে না। মরিচের দাম একটু কম।’

এদিকে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে কমেছে ১০-১৫ টাকা। মিশর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৩০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫ টাকা। দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৪০ টাকায়। গত সপ্তাহে ছিল ৫০ টাকা। দেশি পুরনো পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে।

পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো রবিউল ইসলাম বলেন, ‘পেঁয়াজ আসছে বেশি।  তাই সব পেঁয়াজেরই দাম কম।’

এছাড়া, সবজির বাজারও  স্থিতিশীল। গাজরের কেজি ৪০, করলা ৩০-৪০, বেগুন ২০-৩০, শালগম ৩০, কাঁচা টমেটো ২৫, করলা ৪০, মুলা ১০, সিম মানভেদে ২৫ -৩০ ও শশা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। তবে, এসব সবজির দাম বাজার ও মান ভেদে শহরের অন্যান্য বাজারে ৫-১০ টাকা কম-বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম বেড়েছে।  গত সপ্তাহে বয়লার মুরগির দাম ছিল ১৩০টাকা কেজি। এ সপ্তাহে ১৪০ টাকা কেজি। পাকিস্তানি জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৪০ টাকা কেজি। যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০ টাকা। দেশি মুরগি আগের মতোই বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা কেজি। লাল কর্ক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজিতে। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭০ টাকা কেজি দরে।

বিষেরবাঁশী.কম/ডেস্ক/আয়েশা

Categories: অর্থনীতি,বাজারদর

Leave A Reply

Your email address will not be published.