অনলাইন ডেস্ক:- বৃহস্পতিবার (১০ই ডিসেম্বর) বসানো হয়েছে পদ্মা সেতুর শেষ স্প্যান। ফলে সংযোগ পেয়েছে পদ্মা নদীর দুই পার। পদ্মা সেতু দেশের সর্ববৃহৎ সেতু। যা নিয়ে বাঙালির অহংকার, আবেগ এবং ভালোবাসার শেষ নেই। আর অহংকার করবেই না কেন? নিজস্ব অর্থায়নে হয়েছে বলে কথা।
তবে সেতুর কাজ সম্পূর্ণ শেষ হওয়ার পূর্বেই পদ্মার পার জুড়ে পিকনিক শুরু হয়েছে। দর্শানার্থী হিসেবে এসে সেখানে তাদের রান্না ও খাওয়া দাওয়া চলছে। আবার কেউ কেউ তাদের স্মৃতি লিখছেন পদ্মার পিলারে। অনেকেই আবার অহেতুক আঁকাবুকি করছে। যার ফলে নষ্ট হচ্ছে সেতুর সৌন্দর্য। পদ্মাসেতুর পিলারের গায়ে লেখালিখি বা আঁকিবুকি আগে থেকেই নিষেধ ছিল। তবুও সেতু এলাকায় ঘুরতে যাওয়া লোকজন এই নিষেধাজ্ঞা মানছে না।
আর এসব ঘটনাগুলো বেশি ঘটছে পদ্মার চড়ে থাকা পিলারগুলোতে। সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে লেখা ও আঁকিঝুকি যা সম্পূর্ণ অবৈধ। বিভিন্ন ধরনের লেখা ও আঁকিঝুকি দেখা যায় চড়ে থাকা তিন-চারটি পিলারে। বিষয়টি নিয়ে নানা তর্ক-বিতর্ক চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।
এ বিষয়ে সেতুর প্রকৌশলীরা জানান, সেতুটি সুন্দর করতে শ্রমিক, প্রকৌশলীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। একদল মানুষ সেখানে এরকম কাজ করছেন। যেটা আমাদের মর্মাহত করে। তবে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হলে তখন এসব থাকবে না বলেও জানান তারা।
উক্ত প্রসঙ্গে সিরাজুল কবীর মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মুন্সিগঞ্জের মাওয়া অংশে থাকা পিলার যাতে সুরক্ষিত থাকে এজন্য নৌ-পুলিশের সদস্যরা কাজ করছেন।চরের অংশে থাকা পিলারে যাতে কেউ লেখালেখি না করে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিষেরবাঁশী.কম /ডেস্ক /রূপা