শুক্রবার ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ শুক্রবার

একসঙ্গে প্রশাসন ক্যাডার সিলেটের দুই বোন

অনলাইন ডেস্ক:- সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউপির ছোট দেশ গ্রামের ডা. শামসুল ইসলাম চৌধুরীর দুই মেয়ে ফাতেমা তুজ জোহরা চাঁদনী ও সাদিয়া আফরিন তারিন।চলতি ৩৮ তম বিসিএস পরীক্ষায় প্রশাসন ক্যাডারে চূড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন।

ফাতেমা তুজ জোহরা (চাঁদনী) ও সাদিয়া আফরিন (তারিন) দুই বোন পড়ালেখা করেছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে।ফাতেমার অনার্স সেশন ২০০৯-১০।ছোট বোন সাদিয়ার অনার্স সেশন ২০১১-১২।ফাতেমা ২০০৭ সালে এসএসসিতে জিপিএ ৫ ও ২০০৯ সালে এইচএসসিতে ৪.৮ পেয়েছেন।সাদিয়া ২০০৯ সালে এসএসসি ও ২০১১ সালে এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় পেয়েছেন জিপিএ–৫। তাঁরা একসঙ্গে এবার ৩৮তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।অবশ্য ফাতেমা ৩৫তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে বর্তমানে কানাইঘাট সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।

সাদিয়া আফরিন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষে অন্য আট-দশজন শিক্ষার্থীর মতো হইহুল্লোড় করে কাটিয়েছেন।তিনি তৃতীয় বর্ষের শেষের দিকে ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবতে শুরু করেন।নতুন উদ্যমে লেখাপড়া চলে প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি করার স্বপ্ন নিয়ে।এতে সঙ্গী তাঁর বড় বোন ফাতেমা। তাঁরও স্বপ্ন একই।তারা স্বপ্ন বাস্তবায়নে একাডেমিক লেখাপড়ার পাশাপাশি চাকরির পড়াশোনা চালিয়ে যান।দুই বোনের একই মত, তাঁদের অর্জনে বিশেষ কোনো কৌশল বা রহস্য নেই। লেখাপড়া করেছেন সাদামাটাভাবে।কখনো ঘড়ির কাটা দেখে পড়তে বসেন নি।বরং মনের ইচ্ছানুযায়ী,পড়তে বসতেন।তাদের বাইরে কোনো গ্রুপ স্টাডিতেও অংশ নেওয়া হয়নি।তাঁরা দুই বোন মিলে আলোচনা করে অনেক জটিল সমস্যার সমাধান করেছেন।

স্বপ্নোত্থান’ নামে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে কাজ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় দুই বোন।তারা সংগঠনটির পক্ষে কর্মজীবী শিক্ষার্থীদের নাইট স্কুলে পড়ানো,সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের লেখাপড়া শেখানো,স্বেচ্ছায় রক্তদান ও এতিমদের সেবায় কাজ করেছেন।ইংরেজিতে অনার্স-মাস্টার্স করা ফাতেমা তুজ জোহরা জানান, শিক্ষাজীবনে স্বেচ্ছাশ্রমে সামাজিক ও সেবামূলক কাজ করেছেন। নতুন কর্মস্থলে সেসব কাজ আরও বেশি বেগবান করতে চান। তিনি বলেন, ‘ভালো মানুষ হয়ে দেশ ও মানুষের সেবা করে যেতে চাই।

ফাতেমা টানা চতুর্থবার বিসিএস দিয়ে চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছালেন।আর সাদিয়া প্রথমবার বিসিএসে অংশ নিয়েই পছন্দের পদ ছিনিয়ে নিয়েছেন।তাঁরা এই গৌরব অর্জন করেছেন কোনো ধরনের কোচিং না করেই।সাদিয়ার ভাষ্য, ‘বিসিএস অনেক ধৈর্যের পরীক্ষা। ধৈর্য ধরে লেগে থাকতে হয়।

বিষেরবাঁশী.কম/ডেস্ক/রূপা

Categories: শিক্ষা

Leave A Reply

Your email address will not be published.