আবরার হত্যায় জড়িত আরো চার আসামিকে গ্রেফতারের নির্দেশ আদালতের
অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পলাতক চার আসামির বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
একই সঙ্গে আগামী তিন ডিসেম্বর পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করা গেলো কিনা সে বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তারা হলেন, বুয়েটের ছাত্র এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মোর্শেদুজ্জামান জিসান, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম ও মুজতবা রাফিদ। এর আগে কারাগারে থাকা মামলার বাকি ২১ আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ১৩ নভেম্বর আবরার ফাহাদ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২৫ আসমির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। গ্রেফতারকৃত ২১ জনের আসামির মধ্যে ১৬ জনের নাম আবরারের বাবার দায়ের করা হত্যা মামলার এজাহারে আছে।
তারা হলেন মেহেদী হাসান রাসেল, মুহসিন, তাসিম ফুয়াদ, মোঃ অনিক সরকার ওরফে অপু, মোঃ মেহেদী হাসান রবিন ওরফে শান্ত, ইফতি মোশাররফ সকাল, মোঃ মনিরুজ্জামান মনির, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মোঃ মাজেদুর রহমান ওরফে মাজেদ, মোঃ মুজাহিদুর রহমান, খন্দকার কারুল ইসলাম ওরফে তানভীর, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, আকাশ হোসেন, মোঃ শামীম বিল্লাহ্, মোঃ সাদাত ওরফে এ এস এম নাজমুস সাদাত, মোঃ মোয়াজ ওরফে মোয়াজ আবু হোরায়রা ও মুনতাসির আল জেমি।
এজহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে এখনও তিনজন পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন- মুহাম্মদ মোর্শেদ, উজ-জামান মন্ডল ওরফে জিসান, তেশামুল রাব্বি তানিম ও মোঃ মোর্শেদ ওরফে মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম।
অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, আবরার হত্যাকান্ডে এজহারনামীয় আসামি ছাড়াও ছয় জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে গোয়েন্দারা। এরা সরাসরি এ হত্যাকান্ডে জড়িত না থাকলেও তারা হত্যাকান্ডের পরিকল্পণার সাথে এবং বিভিন্নভাবে আবরার হত্যায় তাদের সংশ্লিষ্টতার প্রমান পেয়েছে তদন্তকারীরা। তারা হলেন- অমিত সাহা, মোঃ মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, এস এম মাহমুদ সেতু, সামছুল আরেফিন রাফাত, ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্না ও মুজতবা রাফিদ। এর মধ্যে মুজতবা রাফিদ পলাতক রয়েছে।
তবে পলাতক রাফিদের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ঘটনার দিন ৬ অক্টোবর রাতে মুজতবা রাফিদ বুয়েটের শেরে বাংলা হলে ছিলেন না। ওই দিন রাত সাড়ে ৮ টার দিকে হল থেকে উবারের ভাড়া করা গাড়িতে কল্যাণপুর বাস স্ট্যান্ডে যান। রাত ১০ টায় শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে দিনাজপুরে তার বাড়ি যান।
ঘটনার সময় রাফিদের উপস্থিতি সংক্রান্ত কোন ভিডিও ফুটেজ নেই। এমনকি তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে ওই ঘটনার জড়িতদের সঙ্গে ওই সময় কোনো কথোপকথন হয়নি। রাফিদ বুয়েট ছাত্রলীগ শাখার সহ-দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। ঘটনার পরদিন ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি রাফিদকে যাচাই-বাছাই না করেই বহিষ্কার করে।
বিষেরবাঁশি.কম/ডেস্ক/মৌ দাস/আহসান শিপু