শুক্রবার ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ শুক্রবার

ধানমন্ডিতে শিল্পপতির শাশুড়ি ও গৃহকর্মীর গলা কাটা লাশ উদ্ধার

অনলাইন ডেস্ক: রাজধানীতে ধানমন্ডির ২৮ নম্বর রোডের (নতুন ১৫ নম্বর) ২১ নম্বর বাড়ির লবেলিয়া নামের অ্যাপার্টমেন্টের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাট থেকে গত শুক্রবার (০১ নভেম্বর) বাড়ির মালিক ও তার গৃহকর্মীর গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন আফরোজা বেগম (৬৫) ও দিতি(১৯)। এদের মধ্যে আফরোজা বেগম শিল্পপতি মনির উদ্দিন তারিমের শাশুড়ি। ওই ফ্ল্যাটে আফরোজা বেগম গৃহকর্মীকে নিয়ে থাকতেন। আপার্টমেন্টের পঞ্চম তলায় মনির উদ্দিন তারিম সপরিবারে থাকেন। একজন নতুন গৃহকর্মী ওই বাসায় শুক্রবার যোগ দেন। ঘটনার পর থেকে ওই গৃহকর্মী পলাতক রয়েছেন।
পুলিশের ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আব্দুল্লাহ হিল কাফি বলেন, নিহতদের একজন বিশিষ্ট শিল্পপতি মনির উদ্দিন তারিমের শাশুড়ি ও অন্যজন ওই বাসার গৃহকর্মী বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আফরোজা বেগমের স্বামী মৃত। তিনি ব্যবসায়ী ছিলেন। ওই ফ্ল্যাটে আফরোজা বেগম গৃহকর্মী দিতি ও কেয়ারটেকার বাচ্চুকে নিয়ে থাকতেন। ঘটনার পর বাচ্চুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বাচ্চু পুলিশের কাছে জানিয়েছেন, একজন নতুন গৃহকর্মী শুক্রবার ওই বাসায় যোগ দিয়েছিলেন। সন্ধ্যার পর সাড়ে ৭ টার দিকে সে ফ্ল্যাটে ঢুকে দেখে যে বেডরুমের মেঝেতে দু’জনের গলাকাটা লাশ পড়ে আছে। অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আব্দুল্লাহ হিল কাফী বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করতে ওই অ্যাপার্টমেন্টের বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। অ্যাপার্টমেন্টের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ জব্দ করা হয়েছে।
অ্যাপার্টমেন্টের চতুর্থ তলা থেকে লিফট দিয়ে নামার পথে স্থানে স্থানে রক্তের দাগ দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে ঘাতক পালিয়ে যাওয়ার সময় তার শরীরের লেগে থাকা রক্ত থেকে ওই দাগের সৃষ্টি হয়েছে। তবে কে বা কারা তাদের জবাই করে হত্যা করেছে সেটি জানা যায়নি। নিহতের স্বামী আশরাফ হোসেন হিরো একজন ঠিকাদার ছিলেন। তাদের তিন মেয়ের মধ্যে ছোট মেয়ে স্বামীসহ ওই অ্যাপার্টমেন্টের পঞ্চম তলায় থাকেন। দুই মেয়ের মধ্যে একজন কানাডা ও অপরজন অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী। ধানমন্ডি থানার ওসি বলেন, ফ্ল্যাটের বেডরুমের মেঝেতে ঘাতকরা দুই জনকে জবাই করে হত্যা করেছে। বেডরুমের মেঝে জুড়ে রক্তে ভেসে গেছে। ঘাতকরা হশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লাশ দুটির সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জান্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছিল। বিষেরবাঁশি.কম/ডেস্ক/মৌ দাস/আহসান শিপু

Categories: অপরাধ ও দুর্নীতি,সারাদেশ

Leave A Reply

Your email address will not be published.