নিজের ভুলের বিষয়টি সাকিব অবগত প্রায় এক বছর আগে
অনলাইন ডেস্ক: টাইগারদের টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সামান্য অসতর্কতার কারণে এক জুয়াড়ির টেলিফোনের তথ্য গোপনের মাশুল গুনতে যাচ্ছেন। আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটের কোড অব কন্ডাক্ট বলছে এ জন্য অভিযুক্তের সাজা হতে পারে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর। আর অপরাধ লঘু হলে সর্বনিম্ন সাজা ছয় মাস। এছাড়াও সাজার বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ আছে।
ছোট্ট একটা ভুলের সবচেয়ে বড় মাশুল গুনতে হচ্ছে সাকিব আল হাসানকে। নিষিদ্ধ বুকির কাছ থেকে দুই বছর আগে পেয়েছিলেন ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব। সেটা প্রত্যাখ্যান করলেও সাকিব তা অবহিত করেননি বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি ও বিসিবিকে। আর তাতেই সর্বনাশ কয়েক বছর ধরে অবস্থান ধরে রাখা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের।
আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টে দুই এর চার দশমিক চারের উপধারায় ব্যাখ্যা আছে বিষয়টির। সেখানে স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ করা হয়, এমন কোনো প্রস্তাব পেলে সরাসরি আইসিসির দারস্থ হতে হবে। তখন তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি দেখভাল করবে বিশ্ব ক্রিকেটের অ্যান্টি করাপশন ইউনিট।
বিভিন্ন সূত্রের খবর নিজের ভুলের বিষয়টি সাকিব অবগত প্রায় এক বছর আগে। যেটা জানে বিসিবিও। কিন্তু হয়েছে বড্ড দেরি। তাই নিষেধাজ্ঞা ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা নেই। চোখ রাখা যাক আবারও কোড অব কন্ডাক্টে। কী বলেছে সেখানে আইসিসি?
এমন কাজের সর্বোচ্চ সাজার মেয়াদ হতে পারে পাঁচ বছর। যেখানে ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট কোনো কাজেই অংশ নিতে পারবেন না অভিযুক্ত। পাপ লঘু হলে নিষেধাজ্ঞা অন্তত ছয় মাসের। তাই সাকিবের ভাগ্যে ঠিক কী ঘটতে যাচ্ছে বিষয়টা স্পষ্ট নয় এখনই।
ইতিহাস ঘেটে জানা যায়, আগেও এমন শাস্তির নজির আছে বিশ্ব ক্রিকেটে। ২০১৪ বিপিএল চলাকালীন বুকির কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়েছিলেন শীলঙ্কান ক্রিকেটার কৌশল লোকুয়ারচ্চি। তথ্য গোপন করায় তাকে ১৮ মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল আইসিসি।
শেষ পর্যন্ত সাকিবের ভাগ্যে কী ঘটবে তার জবাব মিলবে শিগগিরই। তবে যে নিষেধাজ্ঞাই আসুক আপিল করতে পারবেন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার। এবার শুধু অপেক্ষার পালা।
বিষেরবাঁশি.কম/ডেস্ক/মৌ দাস
Categories: খেলাধূলা