শুক্রবার ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ ২৯ মার্চ, ২০২৪ শুক্রবার

বিএনপি দমানোর জন্য সরকার একের পর এক ঘটনা ঘটাচ্ছে: ইব্রাহিম বাবু

বিষেরবাঁশী ডেস্ক: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টকে দমন করতে সরকার ও পুলিশ কর্মকর্তারা একজোট হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেনমহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ইব্রাহিম বাবু। শনিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।বিবৃতিতে বাবু বলেন, বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের বিরুদ্ধে সরকার মিথ্যাচার করছে কারণ এবার বিএনপির বিজয় কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। সরকার ও ইসির বৈঠকের আলোচনায় মনে হয় বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন থেকে কীভাবে দমন করে চাপিয়ে রাখা যায়, তারই মহাপরিকল্পনা হয়েছে সেখানে। তাদের আলোচনায় এটি অত্যন্ত সুস্পষ্ট যে, দলীয় চেতনায় সাজানো পুলিশ কর্মকর্তাদের কোনো নড়াচড়া করাবে না নির্বাচন কমিশন। সরকারের অনুকূলেই সমতল ভূমি নির্মাণ করতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে ইসি।

তিনি আরো বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন যাতে না হয়, সে জন্য পুলিশ নিষ্ঠার সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবে। কারণ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ঐক্যফ্রন্টের বিজয় ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। প্রশাসন ও পুলিশে কর্মরত বিতর্কিত ও দলবাজ কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে কতদিন আগে নির্বাচন কমিশন বরাবরে আবেদন করলে সিইসি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সভায় বলেছেন, কোনো কর্মকর্তাকে বদলি করা হবে না। বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে বিতর্কিতদের সরানোর আহ্বানের বিপরীতে সিইসির এ ধরনের বক্তব্যে দলবাজ কর্মকর্তাদের আরও বেপরোয়া করে তুলবে। ছাত্রদল নেতা বলেন, ক্ষমতা লাভের পরবর্তী উত্তরাধিকার বজায় রাখতেই শেখ হাসিনা ও তার পুলিশের মন পিছুটানে টেনে রেখেছেন। সেজন্য শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রহরায় আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে বন্দি করার সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এই সাজানো পুলিশের দাপটে দুঃশাসনের অন্ধকার থেকে জনগণের মুক্তি মিলবে না। জনগণ ভোট দিতে পারবে না, তাদের ইচ্ছার ফল মিলবে না।

ইব্রাহিম বাবু আরও বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে হলে সমতল মাঠ তৈরি করতে হবে, বিতর্কিত ও দলবাজ পুলিশ কর্মকর্তা ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করতে হবে। নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের দিয়ে প্রশাসন সাজাতে হবে। জাতীয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গণগ্রেফতার চালাচ্ছে সরকার এটাই প্রমান করে সরকার বিএনপির জনসমর্থকে ভয় পাই, এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানসহ বিএনপির সকল নেতাকর্মী মুক্তি দিতে হবে।

বিষেরবাঁশী ডেস্ক/সংবাদদাতা/ইলিয়াছ

Categories: রাজনীতি

Leave A Reply

Your email address will not be published.