বিষেরবাঁশী ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, সেনাবাহিনীর কাছে অস্ত্র আছে, তাদের হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়ার প্রয়োজন নাও হতে পারে। সেনাবাহিনীর কাছে নির্বাচন কমিশন যে কাজটা চাচ্ছে, বিদ্যমান আইনেই যদি সেটা সম্ভব হয় তাহলে সেটাই ভাল। নির্বাচন কমিশন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। শীঘ্রই সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি হবে। কারোর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ থাকলে নির্বাচন কমিশন অবশ্যই তা খতিয়ে দেখবে।
শুক্রবার বরিশালে আসন্ন নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণ বিষয়ক দুদিনব্যাপী এক কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার শাহাদাৎ চৌধুরী। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন চাইবে না নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হোক। কমিশন কোনো দায় নিতে চাইবে না। একটা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক আইনানুগ নির্বাচন করার জন্য যত রকমের নির্বাচনী আইন আছে তার সর্বাধিক ব্যবহারের মাধ্যমে ভালো নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন।
এর আগে বরিশাল নগরীর বিডিএস হলরুমে জেন্ডারবিষয়ক এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনার শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী বলেন, নারীরাও যাতে নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তার সব ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন।
ইউএনডিপি এবং ইউএন ওমেনের সহযোগিতায় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলীর সভাপতিত্বে দুদিনব্যাপী কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ-প্রধান মো. সাইফুল হক চৌধুরী, নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব সাহেদুন্নবী চৌধুরী এবং ইউএনডিপি ইউএন ওমেন-এর জেন্ডার এক্সপার্ট মিসেস এটসুকো হিরাকাওয়া প্রমুখ।
বিষেরবাঁশী ডেস্ক/সংবাদদাতা/ইলিয়াছ