বুধবার ৪ বৈশাখ, ১৪৩১ ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ বুধবার

মেডিকেলে পড়ুয়া মেধাবী তৃষা’র নির্যাতনের নেপথ্যে লম্পট স্বামীর পরকীয়া!

বিষেরবাঁশী ডটকম: ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া পাইওনিয়্যার ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থী তৃষা দেবনাথের উপর যৌতুকের দাবিতে পাষণ্ড স্বামী কলেজ শিক্ষক দীপু দেবনাথের নির্যাতন প্রসঙ্গে তৃষা’র বাবা বিষেরবাঁশীর প্রতিবেদক সুমন বর্মনকে বলেন,
” শিক্ষক পরিবারের সন্তান দেখে কলেজ শিক্ষক দীপু দেবনাথের হাতে মেয়েকে তোলে দিয়েছিলাম সুখের আশায়। কিন্তু বিয়ের কয়েকমাস যেতে না যেতেই জামাতার লাম্পট্য প্রকাশ পেতে থাকে। কিছুদিনের মধ্যেই তৃষা লক্ষ্য করে ওর স্বামী দীপু বিভিন্ন মেয়ের সাথে আড়ালে আবডালে ঘনিষ্ট যোগাযোগ অব্যহত রাখে। এ নিয়ে স্বামীর সাথে প্রায়ই ওর বাক বিতণ্ডা হতো। স্বামীকে সংশোধন করতে বার বার অনুরোধ করেও কোন ফল আসেনি। ঘটনাক্রমে সংসারে অশান্তি চরমে উঠে। আমার মেয়ের গায়ের রঙ একটু কালো তাই বলে তৃষাকে কথায় কথায় খোঁটা দিত। যৌতুকের জন্য চাপ দিত। অধিকাংশ সময়ই ওকে এড়িয়ে চলত। তুচ্ছ কারনে তৃষার গায়ে হাত তুলতো বলে তৃষার বাবা অভিযোগ করেন।” এভাবে শিক্ষক স্বামীর কুৎসিত চরিত্র ক্রমশঃ ফাঁস হয়ে পড়লে অতিষ্ঠ তৃষা এক পর্যায়ে বাবার বাড়ি চলে যেতে বাধ্য হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নরসিংদী ডায়াবেটিস হাসপাতালে কর্মরত একজন চিকিৎসক দীপু দেবনাথের পিসতুতু ভাই এ প্রতিবেদককে ফোনে জানান,তৃষার বিরুদ্ধে দীপুর পরিবারের পক্ষ থেকে কোন প্রকার অভিযোগ তাঁর জানা নেই। তৃষাকে মারধরের কারন প্রসঙ্গে ডাক্তার বাবু ফোনে বিস্তারিত বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তৃষার চলাফেরার মধ্যে কোন বেপরোয়া ভাব ছিলো কি না জানতে চাইলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে বলেন,তৃষ্ণার চলাফেরা ভাল ছিলো।
তৃষার ফেসবুক আইডি থেকে তৃষার উপর নির্যাতনের কাহিনী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর অভিযুক্ত শিক্ষক দীপু দেবনাথের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝর বইতে শুরু করে।

*তৃষার টাইমলাইন থেকে পাওয়া পোষ্টটি নিন্মরূপঃ*
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=890027971195780&id=100005657551163

“আমি তৃষা দেবনাথ, ডেন্টাল স্টুডেন্ট গত ১৮ জানুয়ারি ২০১৮ তে দিপু দেবনাথ, (লেকচারার ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ, কাজী আজিমউদ্দিন কলেজ, গাজীপুর) এর সহিত পারিবারিক ভাবে আমাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সবসময় সে আমাকে যৌতুক দাবি করে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছে।কোন ভরনপোষনও দেয় না।বিয়ের আগে আমাকে দেখতে গিয়ে অনেক পছন্দ করে বিয়ে করে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই সে আমাকে সহ্যই করতে পারে না।তাহলে তো আমাকে বিয়ে না করলেই পারত।কেনই বা বিয়ে করে আমার জীবন টা ধ্বংস করল? গত ১২ অক্টোবর ২০১৮ দূর্গাপূজাতে আমার শ্বশুরবাড়িতে যাই (নিশ্চিন্তপুর,শ্রীপুর,গাজীপুর)।অনেক আশা করেই গিয়েছিলাম দূর্গাপূজা করতে।যাবার পর পরই সে আমার সাথে অনেক দুব্যবহার করে। বাবা মার কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা পূজার মধ্যে এনে দিতে বলে।তখন আমি বলি বিয়েতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে, এখনও পড়াশোনা,বাসাভাড়া,খাওয়া খরচ সব আমার বাবা মা দেয়। এখন বাবা মার পক্ষে এত টাকা দেওয়া সম্ভব না। একথা বলার পর সে আমাকে অনেক মারধর শুরু করে।একপর্যায়ে মাটিতে ফেলে চোখে-মুখে, মাথায় মারাত্নক জখম করে।আমি এখন শারীরিক- মানসিক ভাবে অসুস্থ। কি অপরাধ আমার? আমার জীবনটা কেন সে এভাবে নষ্ট করল? আমি তো এমন জীবন চাই নি। আমার জীবনটা নষ্ট করার অধিকার তো তার ছিল না।আমার জীবনে অপূরনীয় ক্ষতি সে করে দিল। এখন বর্তমানে আমার জীবনটা এমন এক পর্যায়ে এসে ঁদাড়িয়েছে আমার ভবিষ্যৎ এ কি হবে তা আমি নিজেও জানি না??”

বিষেরবাঁশী ডেস্ক/সংবাদদাতা/হৃদয়

Categories: অপরাধ ও দুর্নীতি,সারাদেশ

Leave A Reply

Your email address will not be published.