বৃহস্পতিবার ১৪ চৈত্র, ১৪৩০ ২৮ মার্চ, ২০২৪ বৃহস্পতিবার

বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে

অনলাইন ডেস্ক: ড: কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিএনপির আরেকটি জোট ২০ দলও একি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. হোসেনের আজ সংবাদ সম্মেলন করে সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করার কথা রয়েছে। তবে তারা নির্বাচনের সময় পেছানোর দাবি জানাবে।
বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা জানিয়ে এমন সিদ্ধান্তের তথ্য প্রকাশ করেছে বিবিসি বাংলা।
বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলেছেন, আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা শর্তসাপেক্ষে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য বলেছেন, যেহেতু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে, ফলে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বাইরে থেকে তারা কোনও কর্মসূচি নিলে তাতে পুলিশের অনুমতি না দেয়ার বা আইনগত প্রশ্ন তোলার সুযোগ থাকে। এছাড়া নির্বাচন বানচালের চেষ্টার অভিযোগও আনা হতে পারে। এর পাশাপাশি তারা রাজনৈতিক অন্যান্য বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তারা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে চাইছেন।
বিএনপির সিনিয়র নেতারা বলছেন, তারা তাদের দলের নেত্রীর মুক্তিসহ দাবিগুলোতে আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন।
তবে বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্ট মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার তারিখ এবং নির্বাচনের সময় পিছিয়ে তফসিল নতুনভাবে সাজানোর বা পুন:তফসিলের দাবি জানাতে পারে। তারা তাদের আন্দোলনও অব্যাহত রাখবে। দু-এক দিনের মধ্যে এই ফ্রন্টের নেতারা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। নির্বাচন কমিশনের কাছে তারা রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার বা পুলিশি হয়রানি বন্ধ করাসহ সব দলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির দাবি জানাতে পারেন।
এদিকে কোন দল কোন জোট থেকে নির্বাচনে অংশ নেবে বা কোন দল এককভাবে নির্বাচন করবে সে ব্যাপারে দলগুলোকে আজই কমিশনে জানাতে হবে।
২০ দলীয় জোটের কয়েকটি শরিক দলের নেতারা জানিয়েছেন, এ জোটের শরিক কোন কোন দল ধানের শীষ প্রতীক নেবে এবং কয়টি আসন চায় তা জানতে চেয়ে তাদের প্রধান শরিক বিএনপি ইতোমধ্যে চিঠি দিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী ছাড়া অন্যরা ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করার কথা জানিয়ে দিয়েছে।
জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় এ দলের প্রার্থীরা কিভাবে নির্বাচন করবেন তা নিয়ে তাদের জোটেও আলোচনায় কোন ফল আসেনি। তবে বিএনপির প্রতীক নেয়া না নেয়ার প্রশ্নে জামায়াত আজ রোববার সকালের মধ্যে তাদের সিদ্ধান্ত বিএনপিকে জানাবে।
বিএনপির নেতারা বলেছেন, তাদের দুই জোটে আসন ভাগাভাগিতে সমস্যা হবে না বলে তারা মনে করেন। তবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং তাদের জোটের শরিকরা ইতোমধ্যে মনোনয়ন প্রার্থীদের মধ্যে ফরম দেয়া শুরু করেছে। তারা পুরোপুরি নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়েছে।
বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলছেন, তাদেরও প্রস্তুতি আছে। তবে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে তারা সময় চাইবেন।
বিএনপি নিজেদের মধ্যে এবং জোটের শরিকদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেছে শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত। দলটি প্রথমে তাদের নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নিজেদের অবস্থান ঠিক করেছে। এরপর বিএনপি বৈঠক করেছে তাদের পুরনো ২০ দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে। শনিবার রাতেই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা

 

বিষেরবাঁশী.কম/ডেস্ক/নিঃতঃ

Categories: রাজনীতি

Leave A Reply

Your email address will not be published.