শনিবার ৭ বৈশাখ, ১৪৩১ ২০ এপ্রিল, ২০২৪ শনিবার

না’গঞ্জ-৫ আসনে এ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দীপু আলোচনায়

বিষেরবাঁশী.কম: শহর ও বন্দর নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংকট দূর হওয়ার পথে। সর্বশেষ বন্দরের কৃতী সন্তান এসএম আকরামের দলত্যাগের পর আওয়ামী লীগে এ সংকট ঘনিভূত হয়!
কথিত আছে,বন্দরবাসীর পছন্দ অপছন্দের উপর নির্ভর করে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের জয়-পরাজয়।
স্বাধীনতা উত্তর বেশীরভাগ সময় জাতীয় সংসদে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থীরাই এ আসনের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়ে আসছেন।
মহাজোটের সুবাদে জাতীয় পার্টির সৌভাগ্যবান ব্যক্তিরা হচ্ছেন প্রয়াতঃ সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের পর বর্তমান সংসদ সদস্য সদস্য সেলিম ওসমান। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে,
নিকটাসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনটি মহাজোটের ভাগাভাগিতে জাতীয় পার্টির ভাগে না জুটলে আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রার্থী হিসেবে এ্যাড.আনিসুর রহমান দীপুর নামটি জোড়ালো হয়ে উঠেছে।
উল্লেখ্য,সুদীর্ঘ অতিতে মনোনয়ন বঞ্চনার কবলে পতিত বন্দর ও শহরের বিশাল আওয়ামী জনগোষ্ঠীর মধ্যে চরম হাতাশা বিরাজ করলেও বর্তমানে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে।
বিগত প্রায় দুই তিন বছর ধরে স্বপ্রণোদিত হয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আরজু রহমান ভূঁইয়া,এ্যাড.আবু শহীদ মোহম্মদ বাদল (ভিপি বাদল),এ্যাড.খোকন সাহা,এ্যাড.আনিসুর রহমান দীপু,মুক্তিযোদ্ধা আঃকাদের,আবু সুফিয়ানদের অব্যহত মিছিল মিটিং, উঠোন বৈঠক,লিফলেট,পোষ্টার ইত্যাদি প্রচার প্রচারণার ফলে হালে ৫ আসনে স্থানীয় আওয়ামী ভোটারদের মধ্যে নতুনকরে চাঙ্গাভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে।
মোদ্দাকথা ; উল্লিখিত মনোনয়ন প্রত্যাশীদের পদচারণায় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদীয় এলাকায় মৃতপ্রায় আওয়ামী লীগের পুনরুজ্জীবন ঘটেছে বলে জনশ্রুতি আছে।
তবে,নারায়ণগঞ্জে নেতিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগের পুনরুত্থানের নপেথ্য যাদুকরের নাম মেয়র ডা.সেলিনা হায়াৎ আইভী। গত প্রায় একযুগে মেয়র আইভীর ধারাবাহিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি আকাশচুম্বী হয়েছে একথা বলা বাহুল্য।
সঙ্গতঃ কারনে মেয়র আইভীর নিঃসংকোচ সমর্থন ছাড়া নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সুফল ঘরে তোলা দুরুহ একথা অনস্বীকার্য।

মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে
পেছনে থেকে সম্ভাবনার দৌড়ে কে এগিয়ে? এ প্রশ্নের উত্তরে মতান্তর থাকলেও এক্ষেত্রে মেয়র আইভীর সমর্থনকে সবাই গুরুত্ব দিচ্ছেন।
ওসমান ঘরানার ঘনিষ্টজনরা মনোনয়ন প্রত্যাশায় এখন দ্বিধাবিভক্ত! সেইসঙ্গে যোগ হয়েছে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী ওসমান পরিবারের ‘গৃহদাহ’!এসুযোগ কাজে লাগিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র অপেক্ষাকৃত যোগ্য প্রার্থীর জন্য দৃশ্যতঃ বিজয় সহজ হয়ে উঠেছে।
প্রার্থী ব্ছাইয়ের নানা সমীকরণে অতি সম্প্রতি মেয়র ডা.সেলিনা হায়াৎ আইভী,ভিপি বাদল ও আনিসুর রহমান দীপুর নাম মানুষের মুখমুখে। যোগ্যতার ক্রমানুসারে মেয়র আইভীর পর আনিসুর রহমান দীপু সম্পর্কে বন্দরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন,আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ও জেলা আইনজীবী সমতির সাবেক সভাপতি এ্যাড.আনিসুর রহমান দীপুর ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে বর্তমান ‘আনিসুর রহমান দীপু’ হয়ে উঠার মধ্যে এখন পর্যন্ত অসহিষ্ণুতা,দাম্ভিকতা,স্বার্থপরতা ও অশালীনতার ছিঁটেফোঁটা চোখে পড়েনি।
তিনি একজন নিরেট ভদ্রলোক। ভাবমূর্তি সমস্যা নেই।এ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দীপু ভারসাম্য রক্ষা করে চলেন।
বিনয়ী আনিসুর রহমান দীপুর বাবা মরহুম আবিদুর রহমান খান একজন ভাষাসৈনিক ছিলেন। দীপু ১৯৮০ সালে বন্দর থানার ধামগড় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৯৫ সালে নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীকালে তিনি শহর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে ‘বিএনপি-জামাত’ জোট সরকারের বিরুদ্ধে শেখ হসিনার নেতৃত্বে গড়ে উঠা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। এর আগে ১৯৯৭-২০০৩ সাল পর্যন্ত জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

বিশেষ করে এ্যাড.আনিসুর রহমান দীপু জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে চার বছর ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ বার নির্বাচিত হয়ে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
বিগত ৪০ বছর ধরে আওয়ামী লীগের পোড়খাওয়া নেতা আনিসুর রহমান দীপু বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী।
তিনি সবার দোয়া চেয়েছেন।

বিষেরবাঁশী.কম/ডেস্ক/নিঃতঃ

Categories: নারায়ণগঞ্জের খবর,সারাদেশ

Leave A Reply

Your email address will not be published.