গৌতম রায়: কখনো আমার ফেলে আসা দিনগুলো নিয়ে খুব একটা ভাবিনি। কিন্তু কেন জানি মনে হলো সবার জন্যই তো লিখি। নিজের কিছু অতীত লিখে রাখা ভালো। দেশ ও জাতির কিছু স্বর্নালী ইতিহাসের খুব কাছের স্বাক্ষী হয়ে আছি আমি। ভাবলে যেমন ভালো লাগে তেমনি মন ভারাক্রান্ত হয়ে যায়। তবু আমি সৌভাগ্যবান। এতটুকুই পায় কয়জন? এখানে খুব সংক্ষিপ্ত করতে গিয়ে অনেক কিছু বাদ পড়েছে। স্মৃতির পাতায়ও ধুলো জমেছে। তাই যতটুকু সম্ভব তুলে ধরলাম।
১.
শিশু বয়সে ৭০ এর শান্তিপূর্ন নির্বাচন দেখেছি ও মনে আছে। মায়ের সাথে ভোটকেন্দ্রে ছিলাম। ১ম শ্রেনীর ছাত্র ছিলাম।
২.
একাত্তরের যুদ্ধ ও ত্রিপুরার মেলাঘরে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং দেখেছি। শরনার্থী ছিলাম।
৩.
১৯৮১ সালের ১৭ মে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকালে লাখো মানুষের ভীড়ে বিমানবন্দরে তাঁর ট্রাকে ছাত্রলীগ পতাকা হাতে থাকার সৌভাগ্য হয়েছিল। ৭৫ এর কালোরাতের পর সেদিনই খুলে দেয়ার পর প্রথম ৩২ নং বাড়ীতে প্রবেশের সুযোগ পাই। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তাঁর ফেলে যাওয়া এলোমেলো স্মৃতিগুলো ও দেয়ালে রক্তের কালো দাগ দেখতে পাই। এরপর আর কোনদিন ভেতরে যাওয়া হয়নি।
৪.
১৯৮১ সালে চাষাড়া রেললাইনে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের গাড়ী আটকিয়ে তার হাতে হ্যান্ডশেক করে জোরপূর্বক নারায়নগঞ্জ তোলারাম কলেজকে সরকারী ঘোষনার দাবী করি। তিনি আমাকে কথা দেন। সেদিনেই ওসনানী ষ্টেডিয়ামে তিনি ঘোষনা দেন।
৫.
১৯৮৬ সালে প্রথম ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকতায় যোগ দেই দৈনিক বাংলার বানীতে।
৬.
১৯৮৭ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে পুলিশী নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙ্গে পল্টনে নতুন বাংলা ছাত্র সমাজের অফিসে অগ্নিসংযোগ করি।
এ বছরই ৫৪ ধারায় গ্রেফতার হই।
৭.
১৯৮৮ সালে কোলকাতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মহিয়সী নারী মাদার তেরেসার সাথে সাক্ষাৎ ও আশীর্বাদ লাভ করি।
৮.
১৯৮৯ সালে বিটিভির জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘আইন আদালত’ এর সর্বশেষ অনুষ্ঠানে মানবাধিকার কর্মী হিসাবে আমার দীর্ঘ সাক্ষাৎকার প্রচার হয়।
৯.
নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী গন আন্দোলনে কারফিউ ভেঙ্গে প্রেসক্লাব থেকে মিছিলে অংশগ্রহন করি। ৫/৬ ডিসেম্বর সারারাত উত্তপ্ত ঢাকার রাজপথে থাকি। স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে সকালে নারায়নগঞ্জ বাসায় ফিরি। অসমাপ্ত