বৃহস্পতিবার ১৪ চৈত্র, ১৪৩০ ২৮ মার্চ, ২০২৪ বৃহস্পতিবার

অরাজক পরিস্থিতির শাস্তি ৭ বছর করে দ্রুত বিচার বিল পাস

বিষেরবাঁশী ডেস্ক: যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, যানবাহনের ক্ষতিসাধন, সম্পত্তি বিনষ্ট, ত্রাস ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির শাস্তি বাড়িয়ে দ্রুত বিচার আইনের সংশোধনী বিল পাস করেছে সংসদ।

রবিবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের বৈঠকে ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারি অপরাধ (দ্রুত বিচার সংশোধন) আইন -২০১৮’ বিলটি কন্ঠভোটে পাস হয়। বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।

এরআগে বিলের ওপর আনীত জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব কন্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

২০০২ সালে প্রণীত প্রণীত বিলটি ২০১৪ সালে সংশোধীত হয়। বিদ্যমান সে আইনের ৪ ধারায় নতুন সংশোধনী এনে অপরাধের শাস্তি ৫ বছরের পরিবর্তে ৭ বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিলে বিদ্যমান আইনের ধারা ৪ এর উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত পাঁচ বছরের পরিবর্তে সাত বছর শব্দগুলি প্রতিস্থাপনের প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া বিলে বিদ্যমান আইনের ধারা ৮ এর উপ-ধারা (২) এ উল্লেখিত সরকার বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত একজন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটকে উক্ত আদালতের বিচারক নিযুক্ত করবে শীর্ষক নতুন (২) উপ-ধারা প্রতিস্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ও কার্যকর ভূমিকা পালনের উদ্দেশ্যে, চাঁদাবাজি, যানবাহন চলাকালে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, যানবাহনের ক্ষতিসাধন, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বিনষ্ট করা, ছিনতাই, দস্যুতা, ত্রাস ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, দরপত্র ক্রয়-বিক্রয় গ্রহণের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ভয়-ভীতি প্রদর্শন ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের গুরুতর অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দেশের সার্বিক আইন-শৃ্খংলা পরিস্থিতির অধিকতর উন্নতির লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারি অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১১ নং আইন) প্রণয়ন ও জারি করা হয়েছিল। উক্ত আইনে শাস্তির পরিমাণ কম থাকায় আইনটি সময়োপযোগী করা এবং দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও অধিকতর উন্নতির লক্ষ্যে এ আইনে নির্ধারিত শাস্তির পরিমাণ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

গাজীপুর ও রংপুর মহানগর পুলিশ বিল: এছাড়া গতকাল সংসদে ‘গাজীপুর মহানগরী পুলিশ আইন-২০১৮’ ও ‘রংপুর মহানগরী পুলিশ আইন-২০১৮’ নামের বিল দু’টি উত্থাপন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। এসব মহানগরীর জন্য স্বতন্ত্র পুলিশ বাহিনী গঠন ও তা পরিচালনার জন্য বিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে পৃথকভাবে দু’টি বিল উত্থাপন করা হয়। পরে বিল দু’টি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিষেরবাঁশী ডেস্ক/ সংবাদদাতা/ হীরা

Categories: আইন-আদালত,জাতীয়

Leave A Reply

Your email address will not be published.