বৃহস্পতিবার ১৪ চৈত্র, ১৪৩০ ২৮ মার্চ, ২০২৪ বৃহস্পতিবার

ঋতুরাজ বসন্তকে ঘিরে আনন্দে বন্যায় ভাসছেন চীন

বাংলাদেশের মানুষের মতই ঋতুরাজ বসন্তের রঙিন ছোঁয়া সকল চীনাদের মনে। তাই বসন্ত উৎসবকে ঘিরে আনন্দের বন্যায় ভাসছেন চীনা নাগরিকরা। চন্দ্রপঞ্জিকার নতুন বছরকে সামনে রেখে বর্ণিল উৎসব আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চীন। ৮ই ফেব্রুয়ারি নতুন বছর পালন করেন দেশটির মানুষ। এটি বসন্ত উৎসব নামেও পরিচিত। তাদের কাছে নতুন বছরের আগের দিন ও নতুন বছরের প্রথম দিন হচ্ছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ দুটি দিন। আর এ উপলক্ষ্যেই জমকালো সব আয়োজনের মহড়া হয়ে গেল বিভিন্ন প্রদেশে।

এ যেন আগুনের রাজ্য। আগুন নিয়ে খেলা। নয়জনের একটি তরুণ দল আগুনের ফুলকি ছড়িয়ে দেখাচ্ছেন মনোমুগ্ধকর ড্রাগন নাচ। ১ হাজার ছয়শ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গলিত লোহা ছড়ানো হয় রাতের আকাশে।

আতশবাজির বর্ণিল আলোকচ্ছটা আর গলিত লোহায় হ্যাবেই প্রদেশের রাতের পিংশান শহর হয়ে ওঠে আগুনের শহর। উত্তেজনাপূর্ণ এমন আয়োজনে মুগ্ধ ও বিস্মিত উৎসবে অংশ নেয়া হাজার হাজার চীনা নাগরিক ও পর্যটক।

এই উৎসব দেখতে আসা এক পর্যটক বলেন, ‘সত্যিই অসাধারণ। এতদিন শুধু টিভিতেই দেখেছি, আজ সামনাসামনি দেখে খুবি ভাল লাগছে।’

বসন্ত উৎসব উপলক্ষ্যে হেনান প্রদেশের সানমেনজিয়া শহরে আয়োজন করা হয় বর্ণিল লণ্ঠন উৎসবের। বিভিন্ন আকার ও রঙের এক লাখেরও বেশি লণ্ঠন প্রদর্শন করা হয় এতে। রঙ বেরঙের আলোর লণ্ঠন নজর কাড়ে দর্শকদের।

পূর্ব চীনের আনহুই প্রদেশের প্রাচীন নগরী সানহের রাস্তা আর অলিগলি সাজানো হয়েছে ঐতিহ্যবাহী ঢঙে। তারকাদের নাচ ও গানের লোক পরিবেশনায় অন্যমাত্রা পায় এখানকার পরিবেশ।

এছাড়া সান্দং ও হুবেই প্রদেশে ক্যালিগ্রাফি প্রেমীরা নতুন বছর উপলক্ষ্যে বিভিন্ন রকমের ঐতিহ্যবাহী সব লেখা উপহার দেন স্থানীয়দের।

Categories: জাতীয়

Leave A Reply

Your email address will not be published.