বিষেরবাঁশী ডেস্ক: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের আজ রায় ঘোষণা হবে।
রায় নেতিবাচক হলে বিএনপি নেতা-কর্মীরা রাজপথে নেমে আসতে পারেন। আর বিএনপিকে ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও প্রস্তুত। তাই এই রায়কে কেন্দ্র করে জনমনে রয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা-শঙ্কা।
অনেকটা শঙ্কা নিয়েই বৃহস্পতিবার রাজধানীর অনেকে কর্মক্ষেত্রে বেরিয়ে পড়েছেন। সকাল থেকে কর্মক্ষেত্রের দিকে ছুটছেন নগরবাসী। আবার অনেকে ভয়ে বাসা থেকেও বের হচ্ছেন না। সবার মনে আজ অজানা এক শঙ্কা; রায় ঘোষণার পর দেশে কী ঘটতে যাচ্ছে?
সকাল থেকে রাজধানীর কয়েকটি সড়কে ঘুরে দেখা গেছে, যানবাহন তুলনামূলক কম। যেগুলো অন্যান্য দিনে সাধারণত ব্যস্ত থাকে।
সকাল ৯টার দিকে এলিফ্যান্ট রোড থেকে হেঁটে মতিঝিলে অফিস যাচ্ছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা সামিউর রহমান। তিনি বলেন, অন্য দিনগুলোতে স্বাভাবিকভাবে অফিস যাই। আজ খালেদার রায়। সকালে অজানা আশঙ্কা নিয়েই অফিসের উদ্দেশে বের হয়েছি। দুই দুলের যে অবস্থান শুনতেছি, তাতে না জানি দেশে আবার কী ঘটতে যাচ্ছে।
অ্যাড ফার্মের কর্মী নজরুল ইসলাম অন্তিম বলেন, খুব আতঙ্কে আছি। অফিস থেকে প্রায় অলিখিত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। গত রাতে বলে দেওয়া হয়েছে, পরিস্থিতি খারাপ মনে হলে অফিস না যেতে। আজ অফিস যাব না।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় একটি মামলা করে দুদক।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার প্রাক্তন সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
বিষেরবাঁশী ডেস্ক/সংবাদদাতা/হৃদয়