বিষেরবাঁশী ডেস্ক: প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়াটা এখন নিয়মতান্ত্রিক ব্যাপার। কোচিং বন্ধ রাখাটাই কী এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়! সমাধানটা যে কোচিং বন্ধ রাখার মধ্যেই নিহিত নয় তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। ইদানিং সময়ে পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ তাই বলে। -প্রশ্নফাঁস রোধে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে একাত্বতা প্রকাশ করে নারায়ণগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের এক প্রাক্তণ শিক্ষক কথাগুলো বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, এতোটা নজরদারিতে কোচিং বন্ধ রাখা হলেও বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার পূর্বে প্রশ্নপত্র ফাঁস কী তাই প্রমাণ করে না। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা কেনো এই কোচিং সেন্টারগুলোর দ্বারস্থ হচ্ছে! কারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা প্রদানে ব্যার্থ। এটা আমাদের মেনে নিতে হবে।
দীর্ঘদিন ধরে চলমান বোর্ডের প্রশ্ন ফাঁস রোধে ব্যর্থ হওয়ায় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে জবাব চেয়ে মানববন্ধন করেছে সচেতন অভিভাবক ও ভুক্তভোগী ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ। শনিবার সকালে প্রেসক্লাবের সামনে ছাত্র ও অভিভাবকের সমন্বয়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তারা কোচিং বন্ধের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানান। মানববন্ধনে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও কোচিং সেন্টারের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে অভিভাবক নাসরিন আক্তার বলেন, আমাদের ছেলে মেয়েরা সারা বছর পড়ালেখা করে যা রেজাল্ট করছে পরীক্ষার আগের দিন প্রশ্ন ফাঁসের কারণে আরেক ছাত্র একই রেজাল্ট করছে। এভাবে চললে কি ভবিষ্যৎ দাঁড়াবে আমাদের সন্তান তথা দেশের আগামী প্রজন্মের? স্কুল কলেজের শিক্ষার মান পরিপুর্ণ হয় না বিধায় আমাদের সন্তানদের কোচিং এ প্রেরণ করতে হচ্ছে। সেটিও যদি বন্ধ করে দেয় তাহলে কি ফাঁসকৃত প্রশ্ন দিয়েই পরীক্ষায় পাশ করতে হবে আমাদের সন্তানদের? প্রশ্ন রইল শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
মহিলা কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী রূপা বলেন, প্রশ্ন ফাঁস হলে সারাবছর আমরা কি জন্যে পড়ালেখা করব? তাছাড়া এই সময় কোচিং বন্ধ রাখলে আমাদের পড়ায় বিঘ্ন ঘটছে। আমাদের আইসিটিসহ কঠিন সাবজেক্টগুলো পড়ার জন্য বাসায় টিউটর রাখার মতো সামর্থ্য নেই। অবিলম্বে আমরা আমাদের সমস্যার সমাধান করার দাবি জানাচ্ছি।
বিষেরবাঁশী ডেস্ক/সংবাদদাতা/হৃদয়