বিষেরবাঁশী ডেস্ক: বাংলায় একটা প্রবাদ আছে “আমতলা আমের দাম বেশি” নারায়ণগঞ্জ জেলার বুড়িগঙ্গা তীরে ঐতিহ্যবাহী ফতুল্লা বাজার বহু পুরাতন এই বাজার। এই বাজারে বহু দূর-দূরন্ত থেকে কাচাঁ সবজি ও নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যাদি আমদানী হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের সকল জেলায় যখন শীতের মৌসুমে সবজি তরিতরকারি ও নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য মূল্যহৃাস পেয়েছে। ঠিক তখনই ফতুল্লা বাজারে প্রচুর আমদানী শর্তেও তরিতরকারিতে যেন অগ্নিমূল্য। কাচাঁবাজারে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা চোখ বুঝে ক্রেতা সাধারনের পকেট কেটে নিচ্ছে।
এই বাজারের দ্রব্য মূল্য নিয়ে স্বল্প বেতনভোগী সাধারণ মানুষের ভোগান্তি তুঙ্গে। নারায়ণগঞ্জের শস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত ফতুল্লা থানার বক্তাবলী পরগনা ও মুন্সিগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ-এর বাকতারচর, ঢাকার কারওয়ান বাজার, যাত্রাবাড়ী থেকে আমদানী করা হয়। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে খাদ্যদ্রব্য আমদানী করা হয় ফতুল্লায়। তবুও দাম কমছে না এই বাজারের খাদ্যদ্রব্য মূল্যে। প্রতিদিন ভোর ৪ টা থেকে সকাল ৮ টা পর্যন্ত আজাদ প্লাজা থেকে বন্ধু মহল ক্লাব-এর সামনের রাস্তা পর্যন্ত বিশাল তরিতরকারির বাজার বসে। এখান থেকে বিভিন্ন তরকারি ব্যবসায়ীরা তাদের ভ্যান ও ইজিবাইক যোগে বিভিন্ন বাজারে সবজি নিয়ে বিক্রি করছে। সবজি ফেরিওয়ালারাও পাড়া-মহল্লায় ফেরী করে বিক্রি করছে। বিভিন্ন বাজারে কম দামেও বিক্রি করলেও ফতুল্লা বাজারের ব্যবসায়ীরা প্রচুর দাম হাঁকছে তরিতরকারিতে।
মূল্য বৃদ্ধির কারণেই দিন দিন বাজারে ক্রেতা সাধারণের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এতে করে ফতুল্লা বাজার-এর ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে। পাড়া মহল্লায় ফেরীওয়ালাদের মিনি বাজার।
অতীতে ফতুল্লা থানার এই ঐতিহ্যবাহী বাজারে মানুষ দূর-দূরন্ত থেকে বাজার করতে আসতেন। ফতুল্লা বাজার থেকে দৈনন্দিন বাজার করতে হতো। এখন পাড়া-মহল্লায় ছোট ছোট বাজার গড়ে উঠেছে। ছোটখাটো মিলিয়ে প্রায় অর্ধশত বাজার গড়ে উঠেছে। বিভিন্ন জায়গায় কাশিপুর, বিসিক, পঞ্চবটি, বউবাজার, দাপা, শিবু মার্কেট, মাওলা বাজার, ফাজিলপুর, পাগলা, মাসদাইর, লালপুর, পৌসার পুকুরপাড়, আলামিনবাগ, টাগারপাড়, পাচঁতলা কলোনী, গাবতলী, শিষমহলসহ অনেক জায়গায় গড়ে উঠেছে।
এইসব বাজারের বিক্রি মূল্য তালিকা কিংবা সরকারি কোনো মনিটরিং নেই ।
এব্যাপারে স্থানীয় বাজার পরিচালনা কমিটির সা:সম্পাদক শাহজাহান ভূইয়ার কাছে জানতে চাইলে এবিষয়ে তিনি বলেন বাজার বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
প্রতি কেজি আলু ২০টাকা, শাক ৪০/৩৫ টাকা, শিম ৫০ টাকা, মূলা ৩০ টাকা, টমেটো ৪০/৫০ টাকা, গাজর ৫০/৬০, প্রতি পিস ফুল কপি ৫০/৬০ টাকা, বাধা কপি ৩০/৪০ টাকা ও লাউ ৭০/৮০ টাকা এমনটাই দাম ছিল আজকের বাজারে।
বাজারের বাইরে ফুটপাতের দর ছিল ঠিক এমনটাই, বাজারের দোকানের মূল্য থেকে বরংচ ৫-১০ টাকা বেশি ছিল। আসলে এই বাজারে দোকানদাররা একটা সিন্ডিকেট তৈরি করে ব্যবসা করছে বলে সাধারণ মানুষের অভিযোগ। সমস্ত দায়টা যেন বাজার কমিটি ও বাজার নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপরে গিয়ে পড়ছে। সত্যিকার অর্থে “কেউ দেখেও, না দেখার ভান করছে” বলে এমনটাই সাধারণ মানুষের অভিযোগ। এব্যাপারে সাধারণ ক্রেতারা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বিষেরবাঁশী.কম/ সংবাদদাতা/ হীরা