বিষেরবাঁশী ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলায় জন্মদিনের অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিার থেকে শুরু করে সোমবার পর্যন্ত দু’গ্রামবাসীর মধ্যে দফায়-দফায় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে দোকানপাট। সর্বশেষ সোমবার দুপুরে ককটেল বিস্ফোরণ, বাড়িঘরে ব্যাপক হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের নাগেরবাগ ও বাগমোচরা এলাকায় ঘটে এ ঘটনা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে বাগমোচরা এলাকার আসাদ মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া কবিরের মেয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে নাগেরবাগ এলাকার সাকিব মিয়ার সঙ্গে বাগমোচরা এলাকার এক যুবকের বাক-বিতন্ডা হয়। এর জেরে শুক্রবার নান্নুর ছেলে রুবেল মিয়াসহ তার লোকজন সাকিব মিয়াকে চরথাপ্পড় মারে। পরের দিন শনিবার বিকেলে সাকিব মিয়াসহ তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাগমোচরা এলাকায় ৮ থেকে ৯ টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। একই ঘটনার সূত্রপাতে রোববার রাতে রুবেলসহ তার লোকজন অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নাগেরবাগ এলাকায় ১০ থেকে ১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করে।
এদিকে, পাল্টাপাল্টি ঘটনার পর সোমবার দুপুরে দু’গ্রুপের মধ্যে দফায়-দফায় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দু’গ্রামবাসীর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় এলাকায় চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে বাগমোচরা এলাকাবাসী নাগেরবাগ এলাকার মনির হোসেনের বাড়িঘরে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। খবর পেয়ে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শহিদুল আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শহিদুল আলম বলেন, এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।
বিষেরবাঁশী.কম/ সংবাদদাতা/ হীরা