শনিবার ৭ বৈশাখ, ১৪৩১ ২০ এপ্রিল, ২০২৪ শনিবার

৪০ বছর বয়সে বাবার সঙ্গে প্রথম দেখা মেয়ের

বিষেরবাঁশী ডেস্ক:  কে তার বাবা! ১৬০০ মাইল দূরে থাকা সেই জন্মদাতার খোঁজ পেয়ে উচ্ছ্বসিত জাস্টামন্ড। ভেজা চোখে বলে ওঠেন ‘আমার জন্মের সময় মায়ের বয়স ১৮। যে বয়সে একা একা, পিতৃপরিচয়হীন একজন সন্তানের দেখভাল করাটা সত্যিই দুষ্কর। আর তখনই মা আমাকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর মা-বাবার কাছে চলে আসে। ’
বড় হয়ে মায়ের কাছে বায়না করতাম, বাবার কথা বলো! জাস্টামন্ডের মা লিন্ডা শুধু এটুকুই বলতে পারেন, নিউ জার্সির প্যালিসে়ডস্ পার্কে নিয়ারিজ বলে একটি বারে অলের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছিল। ইতালীয় অল ছিল সেখানকার বারটেন্ডার। ওখানেই তাঁদের ‘ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড’।
বাবা সম্পর্কে তাঁর নামের প্রথমটা আর কোন বারে তিনি কাজ করতেন— এই দুটি জিনিসই কেবলমাত্র জানা ছিল জাস্টামন্ডের। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ‘প্যালিসে়ডস্ পার্ক’ বলে ফেসবুকে একটি গ্রুপ রয়েছে। তার পর থেকেই তন্ন তন্ন করে বাবার খোঁজ শুরু করে দেয় সে। ১৯৭০ সাল থেকে এই প্যালিসে়ডস্ পার্কেই নিয়ারিজ বারের অবস্থান। সেখানেই এক ব্যক্তি ডন নিয়ারির খবর দেন। এই ডন নিয়ারিই হচ্ছেন নিয়ারিজ বারের মালিক। নিয়ারিকে ফোন করেন জাস্টামন্ড। বলেন, ‘জানি এটা খুবই বোকা বোকা প্রশ্ন ! ১৯৭৬-৭৭ সালে আপনার বারে অল বলে এক ব্যক্তি কাজ করতেন। তাঁর সম্পর্কে কিছু বলা যাবে? ও পাশ থেকে উত্তর আসে, ‘আপনি কি অল অন্নুনজিয়াটার খোঁজ করছেন?’
গত ৩ এপ্রিল, নিজের জন্মদিনে, ফেসবুকে বাবাকে ট্র্যাক করে খুঁজে পান জাস্টামন্ড। সেখানে কথাবার্তাও শুরু হয়ে যায় তাঁদের। গত ২৪ এপ্রিল অন্নুনজিয়াটা একটি প্যাটার্নিটি টেস্ট করান। তার রিপোর্ট ৯৯.৯৯৬৬ শতাংশ নিশ্চিত করে যে জাস্টামন্ডের বায়োলজিক্যাল বাবা অন্নুনজিয়াটাই।
তার পর আর রোখে কে! ফাদার্স ডে-তে মেয়ে পৌঁছে গেলেন বাবার শহরে। মেয়েকে ধরে আবেগতাড়িত বাবার কথা ‘আমি কোনও দিনের জন্য তোমাকে যেতে দেব না।’ আপাতত মেয়েকে ফিরতে হয়েছে। তবে দেখা হবে শীঘ্রই। এক সঙ্গে বড়দিন পালন করবেন দু’জনে। বাবা এবং মেয়ে দুজনেই এখন মুখিয়ে আছেন সেই দিনের জন্য।
প্রথম দেখার পর বাবা মেয়ে। (খন্দকার মুহিতুল ইসলামের ওয়াল থেকে)

বিষেরবাঁশী ডেস্ক/সংবাদদাতা/হৃদয়

Categories: আন্তর্জাতিক

Leave A Reply

Your email address will not be published.