শনিবার ৭ বৈশাখ, ১৪৩১ ২০ এপ্রিল, ২০২৪ শনিবার

নিয়াজুলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ

আইভীকে হত্যাচেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। এতে অস্ত্রধারী নিয়াজুলসহ নয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও এক হাজারজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে সদর মডেল থানায় ওই অভিযোগ দাখিল করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আইন কর্মকর্তা এজিএম সাত্তার।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সংঘর্ষে সময় অস্ত্র হাতে যে নিয়াজুলের ছবি গণমাধ্যমে এসেছে, তার পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিয়াজসহ নয় জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও হাজারখানেক মানুষকে সেখানে আসামি করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন সম্প্রতি ফুটপাত দখলমুক্ত করতে নামলে হকারদের পক্ষে নেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান। হকারদের বসতে না দিলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন তিনি। এ নিয়ে চাপা উত্তেজনার মধ্যে গত ১৬ জানুয়ারি বিকালে মেয়র আইভী নিজের সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে চাষাঢ়া এলাকায় গেছে সেখানে শামীম ওসমানের অনুসারীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাঁধে।
ওই ঘটনার সময় নিয়াজুলসহ কয়েকজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা যায়। আইভীর সমর্থকদের অভিযোগ, নিয়াজ সেদিন গুলিও ছুড়েছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আইভীর দাবি, তাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই সেদিন হামলা চালানো হয়েছিল এবং এর পেছনে ছিলেন শামীম ওসমান। অন্যদিকে নগর আওয়ামী লীগের নেতা শামীমের দাবি, সংঘর্ষ সিটি করপোরেশনের সঙ্গে হকারদের; আইভীর সঙ্গে তার ব্যক্তিগত কোনো বিরোধ নেই।
সেদিন নিয়াজুলের উপর হামলা হলে আত্মরক্ষায় নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল বের করেছিলেন তিনি, তবে কোনো গুলি ছোড়েননি বলেও দাবি করেন শামীম।
অস্ত্র হাতে নিয়াজুলের ছবি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়। পুলিশ সুপার মঈনুল হক সেসময় বলেন, অস্ত্রধারী নিয়াজুলকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। পুলিশ তাকে খুঁজছে।
আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘অস্ত্রধারীদের ভিডিও ফুটেজ দেখে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা কাউকে ছাড়ব না।’
কিন্তু ওই রাতেই জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় নিয়াজুলের পক্ষ থেকে একটি জিডি করা হয়েছে, সেখানে ‘হামলা চালিয়ে’ নিয়াজুলের অস্ত্রটি ‘ছিনতাইয়ের জন্য’ মেয়র আইভীর সমর্থক ১৭ জনকে দায়ী করা হয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষের এক দিন পর গত ১৮ জানুয়ারি নিজের কার্যালয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে আইভীকে ঢাকায় এনে ল্যাবএইড হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। চারদিন সেখানে চিকিৎসা নেওয়ার পর আজ মঙ্গলবার দুপুরে তার নারায়ণগঞ্জে ফেরার কথা রয়েছে।

বিষেরবাঁশী.কম/ডেস্ক/নিঃতঃ

Categories: আইন-আদালত

Leave A Reply

Your email address will not be published.