বিষেরবাঁশী ডেস্ক: ঘড়ির কাটায় তখন সন্ধ্যা সোয়া পাঁচটা। জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়। ভেতরে গিয়ে দেখা গেল পুরো অফিস ফাঁকা। নেতৃত্বস্থানীয় কাউকে দেখা গেল না। অথচ এই সময়ে দলীয় অফিস নেতাকর্মীদের পদচারনায় মুখরিত থাকার কথা। ভিন্ন চিত্র দেখে কিছুটা কৌতুহলী হয়ে অপেক্ষা করছিলাম। ঘড়ির কাটা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় চায়ের নেশায় অফিস থেকে বেরিয়ে চা-পাণের উদ্দেশ্যে চলে যাই। ফিরে এসে ৬টা ১০ মিনিটে দেখা মিললো জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মোহাম্মদ বাদল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম অফিসে বসে একান্তে কথা বলছেন। উদ্দেশ্য আগামীকাল (সোমবার) কমিটির প্রথম সভা কিভাবে হবে, কি করা যায়, নানান বিষয়। এরইমধ্যে কথা হয় জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের সাথে। অনেকটা বিনয়ের সহিত কুশল বিনিময় হয়। পরক্ষনে কথা বলার এক পর্যায়ে মঙ্গলবারের বিষয়ে বলেন, আয়োজন বেশী নয়- সকাল ১০টায় কমিটির সকলকে ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে সভা শুরু হবে। আর সভা শেষে সকল নের্তৃবৃন্দকে নিয়ে দুপুরের খাবার। এ ছাড়া সাঁজশয্যা নিয়ে বেশীকিছু ভাবছি না। গেইট করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু গেইটের খরচ যখন শুণলাম ৪ হাজার টাকা তখন ভাবলাম- এটা তো আর কোনো বিয়ের আয়োজন না, গেইট করতেই হবে। সেই টাকায় না হয় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করবো। সকলের মতামত নিয়ে সিদ্ধান্তটা নিতে হবে। এখানে তো আর আমার মতামতই শেষ নয়। তিনি আরো বলেন, প্রথমত নব-গঠিত জেলা কমিটি নিয়ে টুঙ্গীপাড়ায় জাতির জনকের মাজারে শ্রদ্ধাঞ্জলি, সদস্য নবায়ণ ফরম বিতরণ ও বিবিধ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।
৬টা ৩৮ মিনিটে অফিসে আসেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই। এরপরই জমজমাট হয়ে উঠে পুরো অফিস।
এরপর একে একে দপ্তর সম্পাদক এম.এ. রাসেল, কার্যকরী সদস্য সামসুল হক ভূঁইয়াসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা প্রবেশ করেন। ইতমধ্যে সোমবারের অনুষ্ঠানের ব্যানার এসে পৌছায়। তখন ব্যানারের ছবি তুলতে গেলে সভাপতি অনেকটা বিনয়ের সাথে বলেন, আজ না, কাল।
বিষেরবাঁশী ডেস্ক/সংবাদদাতা/হৃদয়