বিষেরবাঁশী ডেস্ক: মারমেইড বেবির তালিকায় এবার স্থান করে নিল কলকাতা। হাজরার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে বুধবার বেলা ১০টা ১০ মিনিটে জন্ম নিল এক বিস্ময় শিশু। তৈরি হয় ইতিহাস। শিশুটির কোমরের নিচে পায়ের কোনো অস্তিত্ব ছিল না, যা ছিল তা হুবহু মাছের লেজের মতো দেখতে। শিশুটির দুই পা জোড়া লেগে এ অবস্থার সৃষ্টি। জোড়া লাগা পায়ের পাতা দুটি মাছের পাখার মতো ডানা মেলেছিল।
এখন পর্যন্ত বিশ্বে মোট পাঁচ শিশু এমন জন্ম নিয়েছে। তারা বেশিক্ষণ বাঁচে না। কলকাতায় জন্ম নেওয়া মারমেইড বেবি বেঁচে ছিল ৪ ঘণ্টা ২০ মিনিট।
মারমেইড বেবির মা মুসকুরা বিবি। বাবা বেলাল হোসেন। মেটিয়াবুরুজের রাজাবাগান থানা এলাকার কারবালার বাসিন্দা মুসকুরা গত মঙ্গলবার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে ভর্তি হন। বেলাল জানান, স্ত্রীর মধ্যে কোনো অস্বাভাবিকতা ছিল না। ইউএসজিতেও কিছু ধরা পড়েনি। তবু কেন এমন হল বুঝতে পারছি না।
এ সম্পর্কে হাসপাতালালের শিশু বিভাগের প্রধান ডা. সুদীপ সাহা জানানা, শিশুটি সিরনোমেলিয়া বা মারমেইড সিনড্রোমে আক্রান্ত ছিল। এক লাখ শিশু জন্মালে একজনের এমন রোগ হয়। বিশ্বে এখন পর্যন্ত পাঁচজন শিশু এমন মৎস্যকন্যার শরীরী গঠন নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে।
বিষেরবাঁশী ডেস্ক/সংবাদদাতা/হৃদয়