বিষেরবাঁশী ডেস্ক: রূপগঞ্জে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশের এক এএসআইয়ের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার রূপগঞ্জ প্রতিনিধি। এ ঘটনায় রূপগঞ্জের সাংবাদিকরা রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে ওই দারোগার অপসারণ দাবি করে বিক্ষোভ করে। পরে রোববার রাত ১১ টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার অভিযুক্ত সহকারী উপ-পরিদর্শক হুমায়ুন বাশার ও দুই কনষ্টেবলকে ক্লোজড করে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করেছে।
লাঞ্চিতের শিকার সাংবাদিক আল-আমিন মিন্টু বলেন, রবিবার বিকালে রূপগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক হুমায়ুন বাসার গন্ধর্বপুর এলাকার ইয়াবা সম্রাট ফারুক হোসেন ও শরিফ মিয়াকে ৭০ পিছ ইয়াবাসহ আটক করে। এসময় দারোগা হুমায়ুন বাশার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া করে। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ীদের ছেড়ে দেওয়ার ছবি ধারণ করতে গেলে দারোগা হুমায়ুন বাশার, কনষ্টেবল সোহেল মিয়া ও তামজীদ তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে।
এদিকে ঘটনার বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকরা নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারকে অবহিত করলে রাত ১১ টার দিকে সহকারী উপ-পরিদর্শক হুমায়ুন বাশারকে ক্লোজড করে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাঈল হোসেন বলেন, সাংবাদিকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করাটা অন্যায় হয়েছে। হুমায়ুন বাশার ও দুই কনষ্টেবলকে ক্লোজড করা হয়েছে।
বিষেরবাঁশী ডেস্ক/সংবাদদাতা/হৃদয়