শুক্রবার ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ ২৯ মার্চ, ২০২৪ শুক্রবার

পোপ ফ্রান্সিস বাংলাদেশে আসছেন বৃহস্পতিবার

বিষেরবাঁশী ডেস্ক: বিশ্বের ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসছেন আগামী বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর)। সফরে তিনি মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলবেন। সরকারের অনুমোদন ও সহযোগিতায় রোহিঙ্গাদের একটি ছোট দল যাতে পোপের সঙ্গে দেখা করতে পারে, সে চেষ্টা করা হচ্ছে।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে আর্চ বিশপ হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান দেশের ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের প্রধান কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি রোজারিও। পোপের বাংলাদেশ সফর উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি রোজারিও বলেন, রোহিঙ্গা পরিদর্শনে যাওয়া পোপের সফর কর্মসূচিতে সংযুক্ত করা অসম্ভব হয়ে গেছে। তাই সেখানে পোপের যাওয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, এর বিপরীতে আমরা চেষ্টা করছি, সরকারের অনুমোদন ও সহযোগিতায় রোহিঙ্গাদের একটি ছোট্ট দল এখানে নিয়ে আসার। কাজ প্রায় শেষের দিকে। এ সময় বিশপ রোজারিও বলেন, বাংলাদেশে ক্যাথলিকম-লী ক্ষুদ্র। তবে তাদের উপস্থিতি ও সেবাদান স্পষ্ট। তারা জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের সেবা দিচ্ছে। মিয়ানমারের প্রান্তিক, নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের জন্য পোপ আশার বাণী নিয়ে আসবেন। সংবাদ সম্মেলনে আর্চ বিশপ মোজেস এম কস্তা, বিশপ সেবাস্টিয়ান টুডু, বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস, বিশপ সুব্রত হাওলাদার, বিশপ রমেন বৈরাগী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে বৃহস্পতিবার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসছেন বিশ্বের ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন পোপ। রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ধর্মীয় উপাসনায় যোগ দেবেন। প্রসঙ্গত, বর্তমানে মিয়ানমারে তিন দিনের সফরে রয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। সোমবার তিনি ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরে পৌঁছান। মিয়ানমারে কোনও পোপের এটিই প্রথম সফর।

সফরকালে রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধ করতে মিয়ানমারের ওপর তিনি চাপ প্রয়োগ করতে পারেন। মিয়ানমার সফরকালে দেশটির নেত্রী অং সান সু চি ও দেশটির সামরিক বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে পোপের। সফরকালে দেশটির সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের কথা বলতে গিয়ে পোপ ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার করেন কিনা, সেটাই দেখার বিষয়। এর আগে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার না করতে আহ্বান জানানো হয়েছিল।

বিষেরবাঁশী ডেস্ক/সংবাদদাতা/হৃদয়

Categories: প্রবাস

Leave A Reply

Your email address will not be published.