বুধবার ৪ বৈশাখ, ১৪৩১ ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ বুধবার

‘আসামিদের সাজা নিয়ে ৩ বিচারপতিই একমত’

 

       পিলখানা হত্যা মামলা

অনলাইন ডেস্ক: ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যা মামলায় কয়জন আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকবে, কয়জন আসামির যাবজ্জীবন বহাল থাকবে, কতজন খালাস পাবেন এসব দণ্ডের ব্যাপারে তিন বিচারপতিই একমত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন আদালত।
পিলখানা হত্যা মামলার রায় নিয়ে আজ রবিবার বেলা দেড়টার দিকে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এসব কথা বলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এই মামলায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে শুনানি হয়েছে। আজ এই মামলার রায় পড়ছেন আদালত।
মাহবুবে আলম জানান, তিন সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। নেতৃত্ব প্রদানকারী বিচারপতি মো. শওকত হোসেন প্রথমে রায় পড়া শুরু করেন। এরপর বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী তাঁর পর্যবেক্ষণ পড়তে শুরু করেছেন। দুপুরের পর বেঞ্চের আরেক সদস্য বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার তাঁর পর্যবেক্ষণ পড়বেন।
পূর্ণাঙ্গ রায় যদি পড়া হয় তাহলে সময় লাগতে পারে বলে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি বলেন, আজ হয়তো আসামিদের অর্ডার পোরশন (আদেশের অংশ) দেওয়া হবে। আসামির চূড়ান্ত রায় হবে বলে মনে হয় না। যেসব আসামির দণ্ড বহাল থাকবে বা খালাস পাবেন কী কারণে দণ্ড বহাল থাকল বা খালাস হলো তার পর্যবেক্ষণ ও যুক্তি আদালত তুলে ধরবেন। এই রায় মোট কত পৃষ্ঠার তা পূর্ণাঙ্গ রায় না হলে বলা যাবে না।
এই মামলাটি পৃথিবীর ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য একটি মামলা বলে উল্লেখ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় নারকীয় হত্যাযজ্ঞে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন প্রাণ হারান। আসামি সংখ্যার দিক থেকে এটি দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মামলা। এই হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত রায় দিয়েছিলেন।
এই মামলায় আসামি ছিলেন ৮৪৬ জন। সাজা হয় ৫৬৮ জনের। তাঁদের মধ্যে বিচারিক আদালতের রায়ে ১৫২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২৫৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়েছিল। খালাস পেয়েছিলেন ২৭৮ জন। এরপর আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) হাইকোর্টে আসে। সাজার রায়ের বিরুদ্ধে দণ্ডিতরা জেল আপিল ও আপিল করেন। আর ৬৯ জনকে খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। এসবের ওপর ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়, শেষ হয় ৩৭০ তম দিনে গত ১৩ এপ্রিল। সেদিন শুনানি শেষে আদালত মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন। এরপর হাইকোর্ট রায়ের জন্য ২৬ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

বিষেরবাঁশী.কম/ডেস্ক/নিঃতঃ

Categories: আইন-আদালত

Leave A Reply

Your email address will not be published.