শনিবার ৭ বৈশাখ, ১৪৩১ ২০ এপ্রিল, ২০২৪ শনিবার

ঝালমুড়ি-ফুচকায় টাইফয়েডের জীবাণু

বিষেরবাঁশী ডেস্ক: রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলের সামনে বিক্রি হওয়া ঝালমুড়ি, ফুচকা, ভেলপুরি ও আচারে টাইফয়েডের জীবাণু পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ২৫ শতাংশ নুডলসে নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে কম প্রোটিন পাওয়া গেছে। জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা গবেষণাগারের (এনএফএসএল) এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল শনিবার সকালে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে এনএফএসএলের ৪৬৫টি নমুনার গুণগত মান পরীক্ষার প্রতিবেদন প্রকাশকালে এসব তথ্য জানানো হয়।

ইনস্টিটিউটর পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রতি পাঁচটি ব্র্যান্ডের সেমাইয়ের মধ্যে তিনটিতে আর ১০টি খোলা সেমাইয়ের সবগুলোতেই প্রোটিন কম ছিল। আর ২০ শতাংশ ব্র্যান্ডের সেমাই ও ৮০ শতাংশ খোলা সেমাইয়ের ব্যাপক মোল্ডের উপস্থিতি ছিল। যদিও যেকোনো পণ্যেই মোল্ডের উপস্থিতি মানেই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট আরো জানায়, সয়াবিন তেল, সরিষা এবং ঘির ১০২টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট; যেখানে মাত্র তিনটি নমুনাতে সব কিছু মান অনুযায়ী ছিল। জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. মো. আনিছুর রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠানটি তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারি অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেই।

এ গবেষণার সঙ্গে থাকা এক গবেষক বলেন, ঢাকার ৫০টির মধ্যে ৪৬টি থানার প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণি এমন প্রতিষ্ঠানের কাছের দোকানগুলো থেকে নমুনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে শহরের নামী স্কুল-কলেজ আছে। সব জায়গার খাবারের মান অত্যন্ত নিম্ন।

গবেষণার জন্য ৪৬টি ঝালমুড়ি, ৩০টি ফুচকা, ১৬টি ভেলপুরি ও ৪২টি আচারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ৪৬ ঝালমুড়ির সব কটিতেই মাত্রাতিরিক্ত কলিফর্ম এবং তিনটিতে সালমোনিলা পাওয়া যায়। ৩০টি ফুচকার সব কটিতে মেলে কলিফর্ম, ইস্ট মোল্ড, ২৭টিতে ই-কোলাই ও সব ভেলপুরিতে ই-কোলাই পাওয়া যায়। তবে আচারের পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে ভালো।

আরো যেসব খাদ্যদ্রব্য : এনএফএসএল স্কুলের পাশের খাবারের বাইরে নুডলস, ঘি, সরিষার তেল, সয়াবিন, সেমাই, লাচ্ছা সেমাই, ফুলকপি, বেগুন, শিম, কাঁচামরিচের ৪১০ ধরনের নমুনা পরীক্ষা করে। ঢাকার বিভিন্ন এলাকার বাইরে কুমিল্লা, রাজশাহী, ফরিদপুর, পাবনা ও যশোর থেকে এসব নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ১৫টি লাচ্ছা ও সাধারণ সেমাই পরীক্ষায় একটি সেমাইয়ে এবং ১০টি লাচ্ছা সেমাইয়ে মাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ আর্দ্রতা পাওয়া যায়। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৫৫টি নুডলসের মধ্যে ১৩টিতে নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে কম পরিমাণ প্রোটিন মেলে। তবে কোথাও নুডলসে সিসার ক্ষতিকর মাত্রা পাওয়া যায়নি। নমুনায় নেওয়া ৩০টি ফুলকপির মধ্যে ১২টিতে ক্লোরোপাইরিফস কীটনাশক, কাঁচামরিচের ৩০টির মধ্যে ১৫টিতে ক্লোরোপাইরিফস পাওয়া যায়।

বিষেরবাঁশী ডেস্ক/সংবাদদাতা/হৃদয়

Categories: লাইফস্টাইল,স্বাস্থ্য

Leave A Reply

Your email address will not be published.