শনিবার ৭ বৈশাখ, ১৪৩১ ২০ এপ্রিল, ২০২৪ শনিবার

‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণ স্বাধীনতা এনে দিয়েছে’

বিষেরবাঁশী ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। এর মধ্যে শুধু বাঙালির নয়; সমগ্র বিশ্বের শোষিত, বঞ্চিত, নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা উঠে এসেছে। ইউনেসকো বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে ‘বিশ্বের প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ স্বীকৃতি দেওয়ায় দেশের বিশিষ্টজনরা এভাবেই গতকাল মঙ্গলবার তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও জ্ঞানমনীষা অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেন, এটি আমাদের সবার এবং বাংলাদেশের জন্য খুবই আনন্দের ও গৌরবের। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ সেদিন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছিল বলেই এর সুফল আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন, ইউনেসকোর এ স্বীকৃতি বাংলাদেশ ও দেশের মানুষের জন্য এক অসাধারণ অর্জন। এ অর্জনের পেছনে বাংলা একাডেমির ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলা একাডেমিই বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বই আকারে প্রকাশ করে ইউনেসকোসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এবং বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি হাইকমিশন ও দূতাবাসগুলোয় প্রেরণ করেছে।

শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, স্বীকৃতিটি বেশ বিলম্বে এসেছে। এটি বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষের জন্য খুবই আনন্দের ও গৌরবের। এটি কোনো সাধারণ ভাষণ ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ভাষণে শুধু বাঙালির নয়; সমগ্র বিশ্বের শোষিত, বঞ্চিত, নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা উঠে এসেছে। বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে লাকী বলেন, আন্তর্জাতিক এ স্বীকৃতি বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে চলার জন্য আমাদের দায়িত্ববোধ আরো বাড়িয়ে দিল।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ বাংলাদেশসহ বিশ্বের জনগণের কাছে অলিখিতভাবে বহু আগেই স্বীকৃতি অর্জন করেছে। ইউনেসসোর অফিসিয়ালি স্বীকৃতির মাধ্যমে ভাষণটি ইতিহাসে স্থান করে নিল। তিনি বলেন, এ স্বীকৃতির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও মানুষের প্রতি তার গভীর মমত্ববোধেরই স্বীকৃতি অর্জিত হলো।

বিষেরবাঁশী ডেস্ক/সংবাদদাতা/হৃদয়

Categories: জাতীয়

Leave A Reply

Your email address will not be published.