বিষেরবাঁশী ডেস্ক: ‘সুপার ম্যালেরিয়া’ সম্পর্কে প্রচারণা প্রত্যাখ্যান করে আইইডিসিআর বলেছে, ঠিক এ মুহূর্তে এ রোগ নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। আইইডিসিআরের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর জানান, ‘আমাদের দেশের কিছু অঞ্চলে ম্যালেরিয়া রোগ আছে, কিন্তু তাই বলে এখানে ‘সুপার ম্যালেরিয়া’ নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া উপমহাদেশের মেকং অঞ্চলে এই রোগটি দেখা যায়, তবে এখন এই ভাইরাসটি প্রথাগত ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে। এর ফলে দ্রুত এ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।’
তবে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে ‘ম্যালেরিয়ার প্রথম চিকিৎসা হচ্ছে ‘আর্টেমিসিনিন’। কিন্তু ‘আর্টেমিসিনিন’ এখন তুলনামূলক কম কার্যকর হয়ে ওঠায় ম্যালেরিয়ার এই ভাইরাস প্রতিরোধ করার জন্য এখন ‘পিপরাকুইন’ যোগ করা হয়েছে। আর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চল এই রোগটি দ্রুত ছড়াচ্ছে, বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা এটি আরো শক্তিশালী হয়ে আফ্রিকা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় পিপারকুইনের সমন্বয়ে আর্টেমিসিনিনই প্রথম পছন্দ। তবে সুপার ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে আর্টেমিসিনিনের কার্যকারিতা কমে যাওয়ায় এটির জীবাণুরা পিপারকুইনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে তারও প্রতিরোধী হয়ে উঠছে। সুপার ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে ওষুধে ব্যর্থ হওয়ার হার বাড়ছে।
অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিওএইচও) মতে, ম্যালেরিয়া বাংলাদেশের একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা। ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম, ত্রিপুরা ও মেঘালয় এবং মিয়ানমার ঘিরে থাকা সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের ১৩টি জেলায় এই রোগের ব্যাপক বিস্তার রয়েছে। প্রতিবছর বিশ্বে ২১ কোটি ২০ লাখ মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।
বিষেরবাঁশী ডেস্ক/সংবাদদাতা/হৃদয়