বৃহস্পতিবার ১৪ চৈত্র, ১৪৩০ ২৮ মার্চ, ২০২৪ বৃহস্পতিবার

বিএনপিতে বিশৃঙ্খলার নাটের গুরু সাখাওয়াত

বিষেরবাঁশী ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বিশৃঙ্খলা ঘটাচ্ছেন এমন দালিলীক অনেক অভিযোগ পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে। দলের চেইন অব কমান্ড ভঙ্গ করে স্ব ইচ্ছেয় ইচ্ছেমত কার্যক্রম করে দলের ভেতরে গ্রুপিং সৃষ্টি করছেন তিনি অভিযোগের দলিল হিসেবে বেশ কিছু কর্মকান্ড চিহ্নিত করে সেগুলো কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
১৭ সেপ্টেম্বর জেলা বিএনপির ৩ নেতা ও মহানগর বিএনপির ৫ নেতা সাক্ষরিত ওই অভিযোগ গুলশান অফিসে দলের মহাসচিবের বরাবর পাঠানো হয়। ১২ পাতার ওই লিখিত আবেদনের সঙ্গে দুটি ভিডিও সিডি, ৩৫টি ছবিও সংযুক্ত করা হয়েছে।

অভিযোগের সারাংশ হিসেবে জানা গেছে, সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিতে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। আর পেছনে নাটের গুরু হিসেবে সাখাওয়াতকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঙ্গে সহ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খানের অতি রঞ্জিত মহব্বত থাকলেও সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর নানা ইস্যুতে সেটার মধ্যে চিড় ধরে। এর মধ্যে প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের কাছ থেকে সাখাওয়াতের দুই কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেন টিপু। এসব নিয়ে যখন বিশৃঙ্খলা তখন মহানগরের সভাপতি দুইজনকে সাবধান করে দিলেও পরে টিপু একের পর এক স্ট্যাটাস তথা মন্তব্য করতে থাকেন। এটাকে সভাপতি আবুল কালামকে বৃদ্ধাঙ্গুল এর শামিল হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
অপরদিকে আবুল কালামের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নমনীয়তায় টিপু ক্রমশ একের পর এক মন্তব্য করলেও সহ সভাপতি ও সিটি করপোরেশনের মত নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া সাখাওয়াত মূলত টিপুর উপর আক্রোশ মেটাতে গিয়ে পাল্টা একক কর্মসূচী করতে থাকে যা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কাজ।

ওই অভিযোগে বলা হয়, ইতোমধ্যে শহরের নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটে সাখাওয়াতের চেম্বারে গত দেড় মাসে ১৮টি সভা হয়েছে যেখানে সাখাওয়াত বিএনপিতে কালামকে হটিয়ে বিকল্প জোট করার তাগিদ দেন যেটা দলের শৃঙ্খলার বাইরে।
অভিযোগের একাংশে বলা হয়, শহরের দেওভোগ, মন্ডলপাড়া, শহীদনগর সহ কয়েকটি স্থানে সাখাওয়াত মহানগর বিএনপির ব্যানার ব্যবহার করে অনুষ্ঠান করেছে যেটা দলের গঠনতন্ত্র সমর্থন করে না। ওইসব ব্যানারে মহানগর বিএনপির নাম উল্লেখ করার আগে নেওয়া হয়নি সভাপতি ও সেক্রেটারীর কোন মতামত। এমনকি দলীয় ফোরামেও বিষয়টি আলোচনা হয়নি।
বিএনপির প্রভাবশালী নেতাদের সাক্ষর করা ওই অভিযোগে বলা হয়, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের তোষণে ব্যস্ত ছিলেন সাখাওয়াত। নেতাকর্মীদের কোন ধরনের টেককেয়ার করেনি তিনি। উপরন্ত অনেককে অপমাণিত হতে হয়েছে। তাছাড়া এক সময়ে আওয়ামী লীগের এমপি শামীম ওসমান বিভিন্ন সময়ে সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরুদ্ধে যে ধরনের বক্তব্য রেখেছিলেন একই বক্তব্য শোনা যায় সাখাওয়াতের কণ্ঠে।

বিষেরবাঁশী ডেস্ক/সংবাদদাতা/হৃদয়

Categories: নারায়ণগঞ্জের খবর

Leave A Reply

Your email address will not be published.