অনলাইন ডেস্ক:- জসীম উদ্দিন, বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় নাম। যিনি পল্লীকবি নামে বেশি পরিচিত। লেখনীর মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন গ্রাম বাংলার মানুষের জীবনযাত্রা, নানা স্তরের মানুষের কথা!
তিনি প্রকৃতি, নদী, মাঠ, বাংলার সাধারণ রূপের মাধ্যমে রেখে গেছেন অনুপম সব কাব্য গাঁথা। এমনকি আধুনিক শিল্প চেতনার ছাপও রয়েছে তার লেখনীতে। নকশিকাঁথার মাঠ, সুজন বাদিয়ার ঘাট সহ প্রতিটি রচনা দ্বারা বাংলা সাহিত্য হয়েছে সমৃদ্ধ।
১ লা জানুয়ারি, পল্লীকবির ১১৮ তম জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন ফাউন্ডেশন আয়োজন করেছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের। সকালে কবির কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে বিভিন্ন সংগঠন। স্মৃতিচারণ করা হচ্ছে তার অনন্য লেখনীর।
কিন্তু যার লেখনীর মাধ্যমে বাংলা সাহিত্য সমৃদ্ধ হয়েছে তার বাড়িটির অবস্থাই বেহাল। অবহেলা আর অযত্নে পড়ে আছে পল্লীকবির স্মৃতিঘেরা বাড়িটি। যদিও বিভিন্ন সময় বাড়িটিকে ঘিরে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা শোনা গেছে, কিন্তু তা বাস্তবে রূপ নেয় নি কখনোই। এমনকি কবির ব্যবহৃত জিনিসপত্রগুলোও অযত্নে পড়ে আছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কবির ভক্ত ও দর্শনার্থীরা এসব দেখে হচ্ছে হতাশ। পূর্বে পল্লীকবির বাড়িটিকে ঘিরে প্রতি বছর মেলার আয়োজন করা হতো। কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে গত ৫-৬ বছর যাবৎ বন্ধ রয়েছে এ মেলাও। এ বিষয়ে স্থানীয়রাও হতাশা প্রকাশ করেছেন।
পল্লীকবির এ বাড়িটিকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিনই অনেক দর্শনার্থীরা যায়। কিন্তু বাড়ির অবস্থা দেখে হতাশ হন তারা। এ বাড়িটিতে দর্শনার্থীদের বসার ব্যবস্থা, এমনকি টয়লেটের ব্যবস্থাও নেই। যে কারণে বিভিন্ন মৌসুমে সেখানে পিকনিক করতে যাওয়া লোকজনকে ভুগান্তিতে পড়তে হয়। পল্লীকবির স্মৃতি রক্ষার্থে তার বাড়ির পাশেই বানানো হয়েছিল জসীম সংগ্রহশালা। কিন্তু প্রচার প্রচারণার অভাবে লোকজনের বেশি আনাগোনা দেখা যায় না।
কবির জন্মদিন উপলক্ষে তার বাড়ি সংলগ্ন উদ্যানে আয়োজন করা হয়েছে আলোচনা সভার। কবির ভক্ত অনুরাগীদের প্রত্যাশা হচ্ছে কবির স্মৃতিবিজড়িত এই বাড়িটি সংরক্ষণে যথেষ্ট উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
বিষেরবাঁশী.কম / ডেস্ক / রূপা