শনিবার ৭ বৈশাখ, ১৪৩১ ২০ এপ্রিল, ২০২৪ শনিবার

ল্যাবে তৈরি মুরগির মাংস বিক্রির অনুমতি

অনলাইন ডেস্ক:গবেষণাগারে তৈরি ‘মাংস’ মানুষের খাবার হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে সিঙ্গাপুর। গবেষণাগারে কৃত্রিম উপায়ে তৈরি মাংস খাওয়ার অনুমতি দেওয়ার ঘটনা বিশ্বে এটাই প্রথম। কৃত্রিম ডিম ও মাংস প্রস্তুতকারী যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ইট জাস্ট তাদের গবেষণাগারে তৈরি মুরগির মাংস সিঙ্গাপুরে বিক্রির অনুমতি পেয়েছে। এর ফলে ভবিষ্যতে জীবিত প্রাণী হত্যা ছাড়াই মাংস উৎপাদনের দরজা খুলে গেল বলে দাবি করেছেন উৎপাদকরা।

বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে বিশ্বে এক ডজনের বেশি প্রতিষ্ঠান কৃত্রিম উপায়ে মাংস তৈরি করছে। এর মধ্যে প্রথমবারের মতো সিঙ্গাপুরের খাদ্য সংস্থার (এসএফএ) নিরাপত্তা পর্যালোচনায় উত্তীর্ণ হয়েছে ইট জাস্টের তৈরি কৃত্রিম মুরগির মাংস।

গরুর বা মুরগির মাংসের বিকল্প হিসেবে বিশ্বে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান উদ্ভিজ্জ মাংস উৎপাদন করছে। তবে ইট জাস্ট মাংস তৈরি করেছে প্রাণীর কোষ ব্যবহার করে। এ ধরনের ক্লিন বা কালচারড মাংসের বিষয়টি বিশ্বে এখনো প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে এবং এ পদ্ধতির উৎপাদন খরচ বেশি বলে এখনো তা জনপ্রিয় হয়নি। 

বুধবার (২ ডিসেম্বর) ইট জাস্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, খুব শিগগির গবেষণাগারে তৈরি মাংসের দাম কমে আসবে। তারা কৃত্রিম মাংস তৈরি করেছে মুরগির কোষ থেকে এবং চিকেট নাগেট হিসেবে তা বিক্রি করা হবে। গবেষণাগারে তৈরি মাংসের গন্ধ এবং স্বাদ আসল মুরগির মাংসের মতোই।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বজুড়ে বিকল্প মাংসের বাজার রয়েছে। ইতিমধ্যে আমেরিকা ও ইউরোপের সুপার মার্কেটগুলোতে ভালো পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে উদ্ভিজ্জ মাংস।  ২০২৯ সাল নাগাদ বিকল্প মাংসের বাজার দাঁড়বে ১৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

বিষেরবাঁশী.কম/ডেস্ক/আয়েশা

Categories: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

Leave A Reply

Your email address will not be published.