অনলাইন ডেস্ক:- ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিশ্ব মহামারী করোনা পরিস্থিতির সময়ে। প্রায় ১৫ লাখ মানুষ শিল্প খাতে কর্মসংস্থান হারিয়েছেন।
ঢাকা চেম্বারের এক অনলাইন আলোচনায় শনিবার(২১ই নভেম্বর) সকালে উঠে আসে এ তথ্য। এসময় বিশ্লেষকরা পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার মতো প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ জনবল গড়ে তোলার তাগিদ দেন।
জীবন ও জীবিকায় বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে করোনার প্রভাব পড়েছে তাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডেও। ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে করোনার প্রভাবে। বিপুলসংখ্যক শ্রমজীবী মানুষ কাজ হারিয়ে শহর থেকে গ্রামে ফিরে গেছেন। তৈরি পোশাক শিল্প, পরিবহন ও নির্মাণ খাতসহ বেশ কয়েকটি খাত মিলে মোট ২৭ লাখের বেশি মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছেন।
এ বিষয়ে ঢাকা চেম্বারের আলোচনায় বক্তারা বলেন, আগামী বছর বিভিন্ন খাতে ৩১ লাখ নতুন কর্মসংস্থান তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। সবচেয়ে বেশি সাড়ে ৬ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে প্রযুক্তি খাতে। আর এ কারণেই প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি দক্ষ জনবল তৈরির তাগিদ দিচ্ছেন আলোচকরা। ফলে বেকারত্বের হার অনেকটা কমে আসবে বলে মনে করছেন তারা।
কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য পুরোনো প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাপনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং নতুন প্রযুক্তির সাথে সমন্বয় করে বর্তমান আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর বেশি জোর দিতে পরামর্শ দেন বক্তারা।
আসাদুল ইসলাম আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন গড়ে তুলতে হলে কর্মসংস্থান বাড়াতেই হবে। সরকার করোনা পরিস্থিতিতিতে তাই দক্ষ জনবল তৈরির ওপর জোর দিচ্ছে।
দেশে বর্তমানে প্রতি বছর ২২ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান প্রয়োজন হয়। তাই বক্তারা প্রশিক্ষিত জনবল তৈরি করার জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসার পরামর্শ দেন।
বিষেরবাঁশী.কম/ডেস্ক/রূপা