শনিবার ৭ বৈশাখ, ১৪৩১ ২০ এপ্রিল, ২০২৪ শনিবার

শিশু জিনিয়া অপহরণ: যা আছে চার্জশিটে

অনলাইন ডেস্ক:-একাধিক বিয়ে করে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে বিভিন্ন পেশার পরিচয় দিয়ে অপরাধ করে আসছিল নূর নাজমা আক্তার লোপা তালুকদার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়া ফুল বিক্রেতা শিশু জিনিয়া অপহরণ মামলায় লোপা তালুকদার এবং তার মেয়ে মারিয়া বিন নূর নদীকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেছে ডিবি পুলিশ। চার্জশিটে এমনটাই উল্লেখ করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান মিয়া। গত ৫ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) চার্জশিটটি আদালতে দাখিল করা হয়।

চার্জশিটে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, মামলার তদন্ত নিয়ে লোপার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করি। স্থানীয় অনুসন্ধানে জানা যায়, লোপার চলাফেরা উচ্ছৃঙ্খল ও স্বভাব ভালো ছিল না বলে স্থানীয়রা জানায়। তার একাধিক বিয়ে হওয়ায় এবং বংশের কারো সঙ্গে সুসম্পর্ক না থাকায় প্রকৃত স্বামীর তথ্য দেওয়া সম্ভব হয়নি।

তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, লোপা একজন পেশাদার অপহরণকারী। একাধিক বিয়ে করে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে সাংবাদিকতা ও আওয়ামী পেশাজীবী লীগের পরিচয় দিয়ে অপরাধ করে আসছিল। গত বছরের ২৭ মে জাল জালিয়াতির অভিযোগে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে গত ১ সেপ্টেম্বর জিনিয়াকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা মো. শাহজাহান মিয়া।

এদিকে এদিন মামলাটির তারিখ ধার্য ছিল। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইলিয়াস মিয়া চার্জশিটটি দেখেছেন। পরে বিচারের জন্য মামলাটি ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ বদলির আদেশ দেন।

জানা যায়, জিনিয়ার মা সেনুরা বেগম মেয়েকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় থাকেন। গত ১ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে জিনিয়াকে টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকে অপরিচিত দুজন নারীর সঙ্গে ফুচকা খেতে দেখেছিলেন তার মা সেনুরা বেগম। এরপর থেকে জিনিয়ার হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না।  

মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে তিনি শাহবাগ থানায় একটি জিডি করেন। পরে ৭ সেপ্টেম্বর শাহবাগ থানায় অপহরণের মামলা করেন তিনি।

মামলার পর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার আমতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জিনিয়াকে উদ্ধার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

এ ঘটনায় নূর নাজমা আক্তার লোপা তালুকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুই দিনের রিমান্ড শেষে লোপাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে লোপা কারাগারেই রয়েছে। আর তার মেয়ে নদী পলাতক রয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন।

বিষেরবাঁশী.কম/ডেস্ক/আয়েশা

Categories: অপরাধ ও দুর্নীতি

Leave A Reply

Your email address will not be published.