শনিবার ৭ বৈশাখ, ১৪৩১ ২০ এপ্রিল, ২০২৪ শনিবার

পদ্মাসেতুতে ৩৬তম স্প্যান বসছে আজ

অনলাইন ডেস্ক:-পদ্মাসেতুতে ৩৬তম স্প্যান বসানো হচ্ছে আজ শুক্রবার (৫ নভেম্বর)। এটি মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সেতুর ২ ও ৩ নম্বর পিলারের ওপর ‘ওয়ান-বি’ স্প্যান বসানো হবে। এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হবে সেতুর ৫ হাজার ৪০০ মিটার। স্প্যানটি বসানো হলে পুরো সেতুতে পাঁচটি স্প্যান ও ৭৫০ মিটার দৃশ্যমান বাকি থাকবে। 

মূল সেতুর সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর জানান, ৩৫তম স্প্যান বসানোর পাঁচ দিনের মাথায় ৩৬তম স্প্যান বসানোর কাজ শুরু হয়।

শিডিউল অনুযায়ী ৩৬তম স্প্যান বসানোর জন্য দুইদিন সময় নির্ধারণ করা হয়। প্রথমদিন স্প্যানটিকে পিলারের কাছে নোঙর করে রাখা হয়েছে। আজ আবার পিলারের উচ্চতায় স্প্যানটিকে তোলার কাজ শুরু হবে। নোঙর শেষে পিলারের ওপর স্প্যানটিকে তোলার জন্য পর্যাপ্ত সময় ছিল না। আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (০৫ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের মাওয়ায় অবস্থিত কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডের স্টিল ট্রাস জেটি থেকে স্প্যানটি বহন করে ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই রওনা দেয়। বেলা ১২টার দিকে কাঙ্ক্ষিত পিলারের কাছে পৌঁছে ৩ হাজার ৬০০ টন সক্ষমতার ক্রেনটি। নদী তীরবর্তী পথে কোথাও কোথাও পর্যাপ্ত গভীরতা না থাকায় বেশি সময় লেগেছে গন্তব্যে পৌঁছাতে।

প্রকৌশলীরা জানায়, ভাসমান ক্রেনটির অবস্থান করার জন্য আগেই পর্যাপ্ত গভীরতা ড্রেজিং করে আনা হয়। স্প্যানটি দুই পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থান করে সুবিধাজনক জায়গায় থেকে নোঙর করে রাখা হয়েছে। এখন শুধু পিলারের উচ্চতায় স্প্যানটিকে রাখার কাজটি বাকি আছে, যা কাল হবে।

অন্যদিকে, ৩৬তম স্প্যান বসে গেলে পদ্মাসেতুতে বাকি থাকবে ৫টি স্প্যান বসানো। এগুলো- ১১ নভেম্বর পিলার ৯ ও ১০ নম্বরে ৩৭তম স্প্যান (২-সি), ১৬ নভেম্বর পিলার ১ ও ২ নম্বরে ৩৮তম স্প্যান (১-এ), ২৩ নভেম্বর পিলার ১০ ও ১১ নম্বরে ৩৯তম স্প্যান (২-ডি), ২ ডিসেম্বর পিলার ১১ ও ১২ নম্বরে ৪০তম স্প্যান (২-ই) ও ১০ ডিসেম্বর সর্বশেষ ৪১ নম্বর স্প্যান (২-এফ) বসবে ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর।

প্রকৌশলী সূত্রে জানা যায়, পদ্মাসেতুতে মোট ৪২টি পিলারে বসানো হবে ৪১টি স্প্যান। ইতোমধ্যে ৩৫টি স্প্যান বসিয়ে দৃশ্যমান হয়েছে ৫ হাজার ২৫০ মিটার। পুরো সেতু ৬১৫০ মিটার (৬.১৫ কিলোমিটার)।

মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

বিষেরবাঁশী.কম/ডেস্ক/আয়েশা

Categories: জাতীয়

Leave A Reply

Your email address will not be published.